চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে অবৈধ হাসপাতাল-ল্যাব-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ফের অভিযান শুরু, ১৯টি বন্ধ

চট্টগ্রামে অবৈধ হাসপাতাল, ল্যাব ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে ফের অভিযান শুরু করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। অভিযানের প্রথম দিনে সোমবার (২৯ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরী ও ১৪ উপজেলায় নানা অনিয়মের অভিযোগে মোট ১৯টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সিভিল সার্জন কার্যালয় জানায়, সোমবার নগরের ৬টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস ও ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালে নানা অনিয়ম পাওয়া যায়। এতে প্রতিষ্ঠান দুটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া হেলথ হোম প্রাইভেট লিমিটেড ও ফেয়ার হেলথ নামে আরও দুই প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, দেশ মেডিকেল সার্ভিসেস হাসপাতালটিতে ২০১৫ সালের পর লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি। অনলাইনে নিবন্ধনও করা হয়নি। ইর্মাজেন্সি সার্ভিস নেই। অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত নয়, সেখানে প্রশিক্ষিত কোনো নার্স নেই। হাসপাতালে ডিপ্লোমাধারী কোনো নার্স নেই। ২০ শয্যার হাসপাতালে রোস্টার অনুযায়ী দুইজন চিকিৎসকের স্থলে একজনকে পাওয়া যায়। নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের পাশাপাশি হাসপাতালে কোনো মূল্য তালিকাও পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ট্রিটমেন্ট চক্ষু হাসপাতালে অনলাইনে নিবন্ধনের নথি, হাসপাতাল পরিচালনার নথি পাওয়া যায়নি। কর্তব্যরত কোনো চিকিৎসক, নার্স কিংবা দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তাও হাসপাতালটিতে পাওয়া যায়নি। অপারেশন থিয়েটার মানসম্মত নয়। মূল্যতালিকাও পাওয়া যায়নি। এছাড়া নগরীর পাঁচলাইশে মেঘনা ল্যাব, পাঁচলাইশ শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল, ফেয়ার হেলথ, হেলথ হোম প্রাইভেট লিমিটেড এবং চট্টেশ্বরী রোডে দেশ মেডিকেল সার্ভিসেসে অভিযান চালানো হয়। এদিকে চট্টগ্রামের ১৪ উপজেলার ১৭টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সোমবার (২৯ আগস্ট) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিভিন্ন হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন শেষে বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৪ উপজেলার মধ্যে ফটিকছড়ি, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলায় ১টি করে, লোহাগাড়ায় ২টি, রাঙ্গুনিয়ায় ৩টি, বাঁশখালীতে ৭টি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়। চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, নগরীতে দুটি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম পাওয়া গেছে। তাই ওই দুটি প্রতিষ্ঠানকে কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর বরাবর চিঠি দেওয়া হবে। সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে তা বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া উপজেলায় যে সব হাসপাতালে অনিয়ম পাওয়া গেছে তা তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে স্বাস্থ্য অধিদফতরে তালিকা পাঠানো হয়েছে। অধিদফতর যে সিদ্ধান্ত দেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে। অবৈধ হাসপাতাল- ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
# ২৯.০৮.২০২২ চট্টগ্রাম #