বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা:সাম্প্রদায়িকতা

-বিজন সাহা (৫৫)

কয়েক দিন আগে নড়াইল জ্বলল। ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগ এনে হিন্দু পাড়ায় আগুন লাগানো হল। মুহূর্তের মধ্যে জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেল যুগ যুগ ধরে জমানো সম্পদ, পুড়ে শেষ হয়ে গেল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। ফেসবুক থেকে জানা যায় ঘটনার আগের দিন ওরা এক হিন্দু ছেলের নামে আইডি খুলে সেখান থেকে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করে একটা পোস্ট দেয়। পরে এই স্ট্যাটাসকে পুঁজি করে স্থানীয় লোকজনদের ওই ছেলের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলে। এরপর ওরা চার গ্রুপে বিভিক্ত হয়ে হিন্দু পাড়া আক্রমণ করে। তবে আক্রমণের শুরুতে নাকি ওরা হিন্দুদের কাছে টাকা পয়সা, সোনাদানা দাবি করে। যারা ওদের দাবি মেনেছে তারা বেঁচে গেছে, যারা মানেনি তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখান থেকে এটাই স্পষ্ট যে হামলা করা হয়েছে পরিকল্পনা করে, ধর্মের দোহাই দিয়ে ডাকাতি করা হয়েছে হিন্দুদের বাড়িঘর। এর সুত্র ধরেই পরে চট্টগ্রাম জেলায় নাকি আক্রমণ হয়েছে। ইতিমধ্যে ফেক আইডি থেকে স্ট্যাটাস দানকারী ছেলের নাম প্রকাশ হয়েছে। সেই ছেলে যে একজন মুসলিম এ ব্যাপারে কারোই সন্দেহ ছিল না। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। বাংলাদেশে এ ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও ঘটেছে। যদি এবারও সরকারের টনক না নড়ে ভবিষ্যতেও ঘটবে। কারণ এর মূল অতি গভীরে প্রোথিত। তার খোঁজে আমাদের যেতে হবে গত শতকের চল্লিশের দশকে। একমাত্র ভারত বিভাগের সার্বিক বিশ্লেষণই এ ব্যাপারে আমাদের কিছুটা হলেও আলোকপাত করতে পারে।

ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হয়েছিল সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে। যদিও কংগ্রেস বরাবরই দ্বিজাতিতত্ত্বের বিরোধিতা করেছে তারপরেও দেশের স্বাধীনতা লাভে এই তত্ত্বই ডিসিসিভ রোল প্লে করেছে। যদি সেই তত্ত্বের ডাইরেক্ট প্রোডাক্ট হয় পাকিস্তান, ভারত হল তার বাইপ্রোডাক্ট। পাকিস্তান জন্ম নেয় দ্বিজাতিতত্ত্বকে সামনে রেখে, এই তত্ত্বকে জীবনের মূল মন্ত্র করে, সেই তত্ত্বের বিরোধিতা করেও এই তত্ত্বের বাস্তব প্রয়োগের কারণেই জন্ম নেয় ভারত। এমনকি পরবর্তী কালে বাংলাদেশও সেই জন্মদাগ থেকে মুক্তি পায়নি। পাবে না। বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে মুক্তি পেলেও এই অঞ্চলের মূল দলগুলো বিশেষ করে আওয়ামী লীগ ১৯৪৭ থেক ১৯৭১ পর্যন্ত কখনই দ্বিজাতিতত্ত্বকে অস্বীকার করেনি। শুধু তাই নয় ১৯৭০ এর নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ ১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবের পূর্ণ বাস্তবায়ন চেয়েছিল। কি সেই প্রস্তাব? মুসলমানদের জন্য একটা নয়, একাধিক রাষ্ট্র। এর অর্থ এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগ একটা স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র চেয়েছিল। পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সার্বিক সহযোগিতা, সোভিয়েত ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ সংবিধানে দেশের মূলস্তম্ভ হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র গ্রহণ করা হয়। তবে মনে হয় না আওয়ামী লীগ দলীয় ভাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই সিদ্ধান্তে আসে। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা তখন এতটাই যে এর বিরোধিতা করার সাহস বা শক্তি তখন কারও ছিল না, যেমন ছিল না বালশাল গঠনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যদিও এ কারণে কেউ কেউ রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। আর এ কারণেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পরে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রী সভার অধিকাংশই মুশতাকের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে শুধু জনগণ কেন আওয়ামী লীগের মধ্যেও পরিষ্কার ধারণা ছিল বলে মনে হয় না। আর সেটা আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মী ও জনগণের কাছে কখনই পরিষ্কার ভাবে ব্যাখ্যা করেনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব। এর ফলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে ধর্মহীনতা বা নাস্তিকতা বলে অপব্যাখ্যা করে এর বিরুদ্ধে প্রোপ্যাগান্ডা চলেছে বাংলাদেশের জন্মের পর থেকেই। আমার ধারণা এ দেশের অধিকাংশ মানুষের কাছেই হিন্দু মুসলমান প্রশ্ন সেই ১৯৪৭ সালেই মীমাংসিত হয়ে গেছিল। তারা ধরেই নিয়েছিল যে পূর্ববঙ্গ এটা মুসলমানের দেশ। ফলে কি একাত্তরের আগে কি তার পরে সাধারণ মানুষ কথায় কথায় ভারতকেই হিন্দুদের দেশ বলে উল্লেখ করত। শুধু তাই নয়, এটা তারা সর্বান্তকরণে বিশ্বাসও করত, এখনও করে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ এ দেশে আসলে বাঙালি মুসলমানের জাতীয়তাবাদে পরিণত হয়। সেটা হয় রাজনৈতিক ভাবেই। যদিও এ জন্যে অনেকে জিয়াউর রহমানকে দায়ী করে, তবে তার পটভূমি সেই ১৯৪৭ সালেই তৈরি হয়েছিল। দ্বিজাতিতত্ত্ব ধর্মের নামে হলেও সেটা সব সময়ই রাজনৈতিক ইস্যু ছিল আর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই সেটা সৃষ্টি করা হয়েছিল। ইসলাম তার জন্মলগ্ন থেকেই অন্যান্য ধর্মকে অস্বীকার করে এসেছে এবং সমস্ত মানুষকে ইসলামের পতাকা তলে আনার লক্ষ্যে কাজ করে গেছে। সেদিক থেকে দ্বিজাতিতত্ত্ব কতটা ইসলামিক সেটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। তবে যেহেতু ভারতীয় উপমহাদেশের সব দেশই তাদের জন্মের জন্য এই তত্ত্বের কাছে ঋণী তাই আমাদের যুগ যুগ ধরে দ্বিজাতিতত্ত্বের লিগেসি বয়ে বেড়াতেই হবে।

যতদিন পর্যন্ত না এই তিন দেশের মানুষ, তাদের নেতৃবৃন্দ সেই ঘটনার পর্যালোচনা করবে এবং পরস্পরের সাথে বন্ধুত্ব ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করার অঙ্গীকার করা সহ সেটা বাস্তবায়নের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে আর প্রতিটি দেশের সরকার জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত নাগরিকের নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য এই তিন দেশের সরকার ও জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ হবে ততদিন এসব চলতেই থাকবে। আসলে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ সংখ্যাগরিষ্ঠের সবলতা নয়, এটা তাদের দুর্বলতা। যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ বা সবল নিজের সমস্যা সমাধানে অক্ষম হয় তখনই সে তার নিজের ব্যর্থতার ঝাল মেটায় দুর্বলের উপর আঘাত করার মধ্য দিয়ে।

যদি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকাই দেখব সাম্প্রদায়িকতা ছিল এর চালিকা শক্তি। উপমহাদেশে যে এর আগে সাম্প্রদায়িক সমস্যা ছিল না তা নয়, তবে পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টারা এটাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে। কোলকাতা কিলিং থেকে নোয়াখালী, লাহোর, দিল্লি ও অন্যান্য স্থানের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের প্রধান হাতিয়ার। রাজনীতির বাজারে সাম্প্রদায়িকতা এখনও হট কেকের মত বিক্রি হয়। প্রায় সব রাজনৈতিক দলই নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাম্প্রদায়িকতা কেনাবেচা করে। শুধুমাত্র মৌলবাদী দল নয়, প্রায় সব দল পক্ষে বা বিপক্ষে বলে সাম্প্রদায়িকতা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে, সাম্প্রদায়িকতা জীইয়ে রাখে। আওয়ামী লীগ হোক আর বিএনপি হোক, কংগ্রেস হোক আর বিজেপি হোক, পিপিপি হোক আর মুসলিম লীগ হোক – উপমহাদেশের সমস্ত প্রধান প্রধান দলই ধর্ম ও সাম্প্রদায়িকতা নিজেদের ভোটের এজেন্ডায় রাখে। যুদ্ধ যেমন গঠনমূলক কাজে সমস্ত ব্যর্থতা, সমস্ত ধরণের করাপশন আড়াল করতে সাহায্য করে সাম্প্রদায়িক ইস্যুও তেমনি রাজনৈতিক দলগুলোর, তা সে ক্ষমতাসীন হোক আর বিরোধীই হোক, সমস্ত ধরণের ব্যর্থতা ঢাকতে সাহায্য করে। যুদ্ধ যেমন বিভিন্ন দেশের সরকারকে সমর্থনকারী বিভিন্ন বৃহৎ শিল্প বিশেষ করে মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিকে ব্যবসা প্রসারে সহায়তা করে, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্র জাতীয়তাবাদ তেমনি পেছন থেকে সরকারকে সমর্থন করা বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। যতদিন পর্যন্ত যুদ্ধ, সাম্প্রদায়িকতা এসব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ডিভিডেন্ড বয়ে আনবে ততদিন এসব থাকবে। এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসার একটাই পথ – ধর্ম বা জাতি নয়, শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করে, শোষণকে জয় করেই কেবলমাত্র নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব এই শিক্ষায় মানুষকে শিক্ষিত করা। অন্য যেকোনো পথ সমস্যার আংশিক সমাধান।

একথা আর অজানা নয় যে বর্তমানে হিন্দু ও অসাম্প্রদায়িক মানুষের উপর আক্রমণ পূর্বপরিকল্পিত। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফেক একাউন্ট খুলে সেখানে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে এমন স্ট্যাটাস লিখে স্বল্প সময়ের নোটিশে প্রচুর লোকজন জড় করে এসব আক্রমণ করা হচ্ছে। এমনকি এসব অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পরেও যারা ফেক একাউন্ট খুলছে, আইন নিজেদের হাতে তুলে নিয়ে দেশের আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না। আমার ধারণা এর মূলও বিদেশের মাটিতে। ইরাক, সিরিয়া, ইউক্রেন এসব যুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব একের পর এক ফেক নিউজ প্রচার করে তার ভিত্তিতে অসংখ্য নিরীহ মানুষ হত্যা করার পরেও এদের কাউকেই বিচারের আওতায় আনা হয়নি। যদি গণতন্ত্রের ধারক ও বাহক বলে দাবিদার, সভ্যতার আলোকবর্তিকা বহনকারী পশ্চিমা বিশ্ব এসব করে তাহলে অন্যেরা কেন তাদের অনুসরণ করবে না।

আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল সাময়িক লাভে বিভোর হয়ে সমাধানের ভেতরে যে সুদূর প্রসারী সমস্যা লুকিয়ে আছে সেটা বুঝতে না পারা। এটা হয় রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা থেকে। ভোগের রাজ্যে আমরা সব কিছু দ্রুত পেতে চাই, তাই ভবিষ্যতের কথা না ভেবে আজকে কী পেলাম বা পেলাম না সেটা নিয়েই মেতে থাকি। আর এ জন্যেই দশ বা পনের বছর পরে দেশের কি অবস্থা হবে সেটা না ভেবে আজ কীভাবে ক্ষমতায় থাকা যায়, কীভাবে ক্ষমতাকে ব্যবহার করে নিজের আখের গোছানো যায় সেটা নিয়েই ব্যস্ত থাকি। এর ফলে চিরায়ত বাঙালি স্লোগান

বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ,
বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার মুসলমান,
আমরা সবাই বাঙালী

ট্রল করে

ফেসবুকে লিখতে দেখি
বাংলার হিন্দু, বাংলার বৌদ্ধ,
বাংলার খ্রীষ্টান, বাংলার নাস্তিক,
আমরা সবাই মুসলমান।

কিন্তু সমস্যা হল
যতদিন হিন্দু আছে ততদিনই আমরা মুসলমান। হিন্দু না থাকলে আমরা হব শিয়া, সুন্নী, কাদিয়ানি, আহাম্মদী, মাইজবান্ডারি …
ফেসবুকে এই আশঙ্কা ব্যক্ত করে যে স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে সেই সম্ভাবনাটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পাকিস্তান, আফগানিস্তান আমাদের সেই পথই দেখায়। হিন্দু বা সংখ্যালঘু তাড়াতে গিয়ে যে ঘৃণার সংস্কৃতি দেশে রোপিত হচ্ছে সংখ্যালঘু উচ্ছেদের সাথে সাথে সেই সংস্কৃতি উধাও হয়ে যাবে না, বরং নতুন উদ্যমে নতুন নতুন শিকার খুঁজতে থাকবে – এবার আর ধর্মীয় সংখ্যালঘুর মধ্যে নয়, সংখ্যাগুরুর মধ্যে।

এখানে উল্লেখ্য যে শুধুমাত্র মৌলবাদী বলে অন্যদের দোষ দিলেই চলবে না, ভূত খুঁজতে হবে সর্ষের মধ্যে। মৌলবাদী বলে যাদের ঘাড়ে সরকার দোষ চাপাতে চায় তাদের অধিকাংশই আজ সরকার দ্বারাই নিষ্ক্রিয় অথবা দল বদল করে সরকারি দলে। ইদানীং কালে ঘটে যাওয়া প্রায় সমস্ত ঘটনার পেছনে সরকারি দলের যোগসাজশ দেখা যায় আর এর ফলেই পুলিশ বা শান্তি রক্ষাকারী বাহিনী থেকেও না থাকার ভান করতে বাধ্য হয়। নব্য আওয়ামী লীগের এসব লোকের স্লোগানই যেন – তোর শীল তোর নোড়া তোরই ভাঙব দাঁতের গোড়া। আওয়ামী লীগের নিজের স্বার্থেই দলের ভেতর শুদ্ধি অভিযান চালাতে হবে। দলের বলে আজ যাদের লাই দেওয়া হচ্ছে বিপদের সময় এরাই প্রথম দল থেকে পালাবে বা ভিন্ন দলে যোগ দেবে যেমনটা দিয়েছিল পঁচাত্তরে। বর্তমানে অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে সেটা শুধু সংখ্যালঘুদের অস্তিত্বের প্রশ্ন নয় এটা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রশ্ন। কারণ রাষ্ট্র হিসেবে যদি বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হয় তবে অর্থনীতির পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলার কথাটাও মাথায় রাখতে হবে। শরীরের যেমন একটা অঙ্গহানি ঘটলে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয় রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেও তাই। বর্তমানে জনসংখ্যার এক বিশাল অংশের মধ্যে যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে সেটা কোন রাষ্ট্রের জন্যই কাম্য নয়, এটা রাষ্ট্রের প্রতি চ্যালেঞ্জ স্বরূপ। সময় মত সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হলে অনেক দেশের মত বাংলাদেশও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, মস্কো, রাশিয়া