চলমান সংবাদ

৫ লাখ টাকা চুক্তিতে ‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় পাস, মৌখিকে আটক

পাঁচ লাখ টাকার চুক্তিতে অন্যজনের মাধ্যমে ‘প্রক্সি’ দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে মৌখিক পরীক্ষায়। ভাইভা বোর্ডে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার মিল না থাকায় বোর্ড সদস্যদের সন্দেহ হয়। লিখিত পরীক্ষায় বেঁচে গেলেও শেষ পর্যন্ত মৌখিক পরীক্ষায় ধরা পড়তে হয়েছে এক নিয়োগপ্রার্থীকে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন রাজস্ব খাতভুক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০’ এর লিখিত পরীক্ষা নিয়ে এ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার সময় হাতের লেখা মিলিয়ে এ জালিয়াতি উদঘাটন করেন জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে মৌখিক পরীক্ষার সময় জালিয়াতির অভিযোগে মো. মুজিবুর রহমান(৩০) নামে ওই নিয়োগপ্রার্থীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ্দ করে জেলা প্রশাসন। আটক মুজিবুর রহমানের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকায়। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ২২ এপ্রিল ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০’র লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় আটক পরীক্ষার্থীর হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন অন্য পরীক্ষার্থী। তবে আজ (সোমবার) অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় মূল (আসল) পরীক্ষার্থীই অংশ নেন। ভাইভা বোর্ডে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার মিল না থাকায় বোর্ড সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে লিখিত পরীক্ষায় অন্য আরেক শিক্ষার্থী ‘প্রক্সি’ দেওয়ার কথা স্বীকার করেন এ পরীক্ষার্থী। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু রায়হান দোলন বলেন, ‘আটক পরীক্ষার্থী পেকুয়া উপজেলার মানিক নামে তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ৫ লাখ টাকার চুক্তির বিনিময়ে ‘প্রক্সি’ দিয়ে গত ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত লিখিত পরিক্ষায় পাশ করেন। মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হলে হাতের লেখা যাচাই-বাছাই করা হয়। এসময় লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে মৌখিক পরীক্ষার হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। তাকে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ অভিযোগে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস বাদী হয়ে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করছেন। উল্লেখ্য, গত ১ জুন জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা ও বিভিন্ন উপজেলা ও মহানগরের ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে লিখিত পরীক্ষায় ‘প্রক্সি’ দিয়ে পাশ করা ১৫ জন নিয়োগ প্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছিল। তারাও অন্যজনের মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। পরে তাদের সাজা দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। # ২৫.০৭.২০২২ চট্টগ্রাম #