বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনাঃ মৌলবাদ

– বিজন সাহা (৫৪)  

বেশ কয়েক বছর হল দেশে শিক্ষকেরা বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের শিক্ষকেরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার মিথ্যে অভিযোগে হেনস্থা হচ্ছেন। গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘোরানো, জনতার কাছে ক্ষমা চাওয়া, গালিগালাজের শিকার হওয়া, বিনা বিচারে মাসের পর মাসে জেল হাজতে থাকা তো আছেই, এমনকি কেউ কেউ মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করেছেন। এ নিয়ে কিছুদিন আগে লিখেছিলাম।

কিছুদিন আগে আক্রান্ত হলেন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। তিনি প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক মানুষ হিসেবে পরিচিত, উদিচির সাথে জড়িত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। ওনার স্ত্রী ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা। সব মিলিয়ে হিন্দুদের মত ওনারাও মৌলবাদীদের চক্ষুশূল। সেদিন এই আক্রমণ নিয়ে রতন সিদ্দিকীর বিস্তারিত বক্তব্য শুনলাম। সেটা থেকে অনেক কিছুই পরিষ্কার হয়ে যায় কেন দেশে প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা ঘটে।

রতন সিদ্দিকীর কথা অনুযায়ী যাতে শুক্রবারের নামাজের সময় কাউকে ডিস্টার্ব করতে না হয় তাই তারা নামাজ শেষ করে বাসার সামনের মসজিদ থেকে লোকজন বেরুনোর আগেই বাসায় ফিরছিলেন কোন এক আত্মীয়ের বাসা থেকে। ট্র্যাফিকের কারণে একটু দেরি হলেও তাঁরা সময় মত বাসার সামনে এসে দেখেন গেটে একটা মোটর সাইকেল রাখা ফলে তাঁরা গাড়ি নিয়ে বাসায় ঢুকতে পারছিলেন না। এ নিয়েই সমস্যার শুরু, তাঁদের মালাউন, নাস্তিক এসব বলে গালিগালাজ করা ইত্যাদি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় আজ হিন্দু, মালাউন, নাস্তিক, ধর্মনিরপেক্ষ এসব সিনোনেম হয়ে গেছে।

এই গালগালাজ থেকে আমরা একটা জিনিস পরিষ্কার বুঝতে পারি। যদিও বিগত বছরগুলোয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে আক্রমণের শিকার হয়েছে কখনই সেটা প্রমানিত হয়নি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহল বলেছে যে এসব অভিযোগ ছিল পূর্বপরিকল্পিত। অধ্যাপক রতন সিদ্দিকীর কথা থেকেও সেটাই পরিষ্কার বোঝা যায়। তাঁর ভাষায় যদিও তিনি বা তাঁর স্ত্রী নামাজ বা ইসলাম নিয়ে কোন কথাই বলেননি, তারপরেও তাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে ধর্ম অবমাননার জন্য ক্ষমা চাইতে। তাদের একটাই উদ্দেশ্য, প্রথমে মিথ্যা অভিযোগ করা, চাপ সৃষ্টি করে স্বীকার করানো আর তারপর আইনের আশ্রয় না নিয়ে নিজেদের হাতে বিচার তুলে নেওয়া।

আসলে এই যে মৌলবাদীরা যখন কেউ তাদের পছন্দ হয় না তাদের মালাউন, নাস্তিক ইত্যাদি বলে ঘোষণা করে বিচারের অপেক্ষা না করে শাস্তি দিতে নেমে যায় সেটা কেন হচ্ছে? আসুন আমরা ফিরে যাই ইরাকের ঘটনায়। যেখানে প্রেসিডেন্ট কেনেডির মৃত্যুতে কে দায়ী তা নিয়ে আজও প্রশ্ন আছে সেখানে কিভাবে নাইন ইলেভেনের ক’ দিনের মধ্যেই আফগানিস্তান ও পরে ইরাককে দোষী করা হল সেটা কি অবাক হবার মত ঘটনা নয়? অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় ঘটনা ঘটার আগে থেকেই দোষী সাব্যস্ত ছিল বা বলা যায় দোষী সাব্যস্ত করে পরে সেই প্ল্যান মাফিক ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। বিভিন্ন তদন্ত, মাইকেল মুরের অনুসন্ধানী মুভি সেই ইঙ্গিতই দেয়। কলিন পাওয়েল যখন জাতি সংঘে পাউডার নাড়িয়ে ইরাকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তখন কি তিনি অভিযোগ প্রমাণের কথা ভেবেছিলেন? না, তিনি শাস্তির কথা ভেবেছিলেন। এটা ছিল ইরাক আক্রমণের অজুহাত। একই কথা বলা চলে বেলগ্রেড, লিবিয়া, সিরিয়ার ক্ষেত্রে। যখন মালয়েশিয়ান বিমান ধ্বংসের তদন্তের প্রশ্ন আসে তখন তারা আগে থেকেই দোষী সাব্যস্ত করে রাখে। একই কথা বলা চলে বুচার ঘটনা সম্পর্কে। পশ্চিমা বিশ্বই কি দায়ী নয় কথায় কথায় আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে, সমস্ত আন্তর্জাতিক আইন দু’ পায়ে মাড়িয়ে যার বিরুদ্ধে যা খুশি তাই করার নজির সৃষ্টি করার। আর সেটা শুধু শত্রুদের বিরুদ্ধেই নয়, বন্ধুদের বিরুদ্ধেও। করোনা কালে আমেরিকার ইউরোপের দেশগুলোর ন্যায্য অধিকার অস্বীকার করে মাস্ক, ভ্যাক্সিন এসব নিজ দেশে নিয়ে যাওয়া সেটাই প্রমাণ করে না কি? তাই আমাদের শুধু তথাকথিত দুষ্ট মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করলেই চলবে না, ভালো মৌলবাদীদের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হতে হবে। যারা তালিবান, আইএসএস এসব সংগঠন তৈরি করে উগ্রতাকে উস্কে দেয় তাদেরকেও না বলার সময় এসেছে।  কিন্তু আমরা বিভিন্ন কারণে প্রায়ই সেটা বলতে ভুলে যাই। বেশ কিছুদিন আগে কাবুলে এক সন্ত্রাসবাদী ঘটনার পরে একজন স্ট্যাটাস দিলেন “কিভাবে আফগান জনগণ এমন নিষ্ঠুর  হল যে এভাবে নিরীহ মানুষ খুন করছে?” আমি বললাম, এটা জানতে আমাদের আরও পেছন দিকে ফিরে যেতে হবে। যেতে হবে তালিবানের উৎসে। উত্তরটা তার ভালো লাগেনি। সোভিয়েত আগ্রাসনের কথা তুললেন। আমি স্বীকার করলাম, বললাম যে সেটাও দেখতে হবে, দেখতে হবে কেন আফগানিস্তানের মত একটা দেশে দুই পরাশক্তি এই খেলায় মেতে উঠল। কিন্তু সমস্যা হল আমরা এসবের মূল খুঁজে বের করতে চাইনা যাতে কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে না আসে। আমার সেই লেখার প্রেক্ষিতে ইনবক্সে তিনি লিখলেন এরকম প্রশ্ন তো মৌলবাদীরা তোলে। সত্যের মুখমুখি দাঁড়াতে আমাদের এই ভয়ও কি সত্য থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখে না? কেননা সমস্যার মূলে না গিয়ে আমরা শুধু তার সাময়িক সমাধান দিতে পারব, কখনই সমস্যাটা সমূলে উৎপাটন করতে পারব না। আসলে সব সময়ই লাভ ক্ষতির হিসেব, বিশেষ করে আত্মসমালোচনা শত্রুর পক্ষে যেতে পারে এই মনোভাব আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছুতে দেয় না। মনে পড়ে গত শতাব্দীর আশির দশকের ঘটনা। তখন দেশ থেকে বাম ঘরানার রাজনৈতিক দলের নেতারা বিশেষ করে সিপিবির নেতারা প্রায়ই মস্কো আসতেন। একবার কমরেড মঞ্জুরুল আহসান খান তাঁর এক অভিজ্ঞতার কথা বললেন এক সভায়। তিনি গেছেন জাতীয় সাহিত্য প্রকাশনীতে একটা বইয়ের খোঁজে। হঠাৎ চোখে পড়ল মস্কো নিউজের এক প্রতিবেদন যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়নের কোন এক পদক্ষেপের কঠোর সমালোচনা করা হয়েছে। তিনি তখন ধীরে ধীরে কাগজটা সরিয়ে ফেললেন যাতে আর কারও চোখে না পড়ে। কিছুক্ষণ পরে নিজেই হাসলেন এই ভেবে যে যেখানে সোভিয়েত ইউনিয়ন নিজেই নিজের সমালোচনা করছে সেখানে তিনি বাংলাদেশে বসে সেটা লুকানোর চেষ্টা করছেন। একই ঘটনা দেখি আমি সেই লোকের ব্যবহারে। যেখানে আমেরিকার প্রশাসনের লোকজন স্বীকার করছে তালিবান, আল কায়েদা, ইসলামিক স্টেট এসব গঠনে আমেরিকার ভূমিকার কথা সেখানে এরা কৌশলে এসব এড়িয়ে যায় পাছে মৌলবাদীরা এই সুবিধা নেয়। অবশ্য এটা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এই যে আজ ইউরোপে তেল গ্যাস সংকট সেটাও তো অদূরদর্শী রাজনীতির ফসল। আসলে বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ সমস্যাই, তা সে করোনা ভাইরাস হোক, এনার্জি সেক্টরে অস্থিতিশীলতা হোক, দেশে দেশে মৌলবাদের উত্থান হোক – এ সবই পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে আমেরিকার রাজনৈতিক মাফিয়াগিরির ফল। এরা সব সময় জবাবদিহিতার কথা বলে, অথচ বিশ্ব রাজনীতিতে চরম ব্যর্থতার জন্য কেউই আমেরিকা বা পশ্চিমা বিশ্বকে জবাবদিহি করার জন্য আহ্বান জানায় না।

অধ্যাপক সিদ্দিকী তাঁর বক্তব্যে পুলিশ ও র‍্যাবের কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেছেন। এরা শুধু সেই সংকট কালেই নয়, এখনও পর্যন্ত তাঁদের নিরাপত্তার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু প্রশ্নটা এই যে এরা কিন্তু প্রতিটি নাগরিককে প্রতি মুহূর্তে এমন নিরাপত্তা দিতে পারবে না। অথচ দেশের বর্তমান নিরাপত্তাহীনতার জন্য সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই দায়ী। সময় মত ব্যবস্থা নিতে না পারলে সব কিছুই হাতের বাইরে চলে যায়। বর্তমান কালে যা ঘটছে সেটা কোন কোন রাজনৈতিক দলের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে ঘটলেও এসব রাজনৈতিক ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত না করে দুর্বৃত্তদের কাজ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। তাহলে সেভাবেই এসব ঘটনাগুলো চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। সরকার যদি এখনও ভোটের চিন্তা করে, যদিও ভোটের যে দুরাবস্থা তাতে এ নিয়ে ভাবার কী আছে সেটাই ভেবে পাই না, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দ্বিধা করে, তাহলে কিছুদিন পরে এরাই সরকার, জনগণ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তাই প্রফেসর সিদ্দিকীর নিরাপত্তা দানে সরকার ও নিরপত্তা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করার সাথে সাথে এদের অতীত ভূমিকার কথাও স্মরণ রাখতে হবে।

সোভিয়েত আমলে আমরা দেশে ফিরতাম এরফ্লতের বিমানে। তখন এরফ্লত খুব জনপ্রিয় ছিল সস্তা বলে। লন্ডন থেকে যাত্রী বোঝাই হয়ে আসত। ফলে মস্কোয় টিকেট পাওয়া ছিল সৌভাগ্যের ব্যাপার। সে সময়ে আমি বার তিনেক দেশে যাই। প্লেনে উঠলেই লন্ডনের যাত্রীদের সিলেটি ভাষা আসত কানে। পান জর্দা দেওয়া নেয়া। মনে আছে একবার দেশে ফেরার পথে মস্কো থেকে একই প্লেনে গেলেন বেগম সুফিয়া কামাল। উনি পান খেতে পছন্দ করতেন। আমি লন্ডন থেকে আসা যাত্রীদের কাছে ঘুরে ঘুরে ওনার জন্য পান সংগ্রহ করেছিলাম। সেই সময় বিমানে উঠে মনে হত দেশের কোন মেলায় বসে আছি। কখনও আশে পাশে বসত লন্ডন থেকে আসা কোন টিন এজার অথবা আমাদের বয়সী কেউ। চোস্ত ইংরেজিতে কথা বলছে। জামায় কাপড়ে যাকে বলে বিলেতি সাহেব। কিন্তু আসল ব্যাপারটা ঘটত দেশে ল্যান্ড করার একটু আগে। ইতিমধ্যে বিমানবালারা আমাদের হাতে কাস্টমসের ডিক্লিয়ারেশন ফর্ম দিয়ে গেছে। সেটা পূরণ করছি। এমন সময় পাশের (সামনে অথবা পেছনের) সীট থেকে বলতে শুনতাম
ভাই, ফর্মটা একটু ফিল আপ করে দেবেন।
আপনার কলম দরকার? – তার দিকে কলম এগিয়ে দিতাম।
না, মানে লেখাপড়াটা শেখা হয়নি।
আমার চোখে বিস্ময়। অনর্গল ইংরেজিতে কথা বলে যাচ্ছে অথচ লেখাপড়া জানে না।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আর একই সাথে শিক্ষক অবমাননা, ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতির প্রতি অধিকাংশ মানুষের মনোভাব দেখে আমার প্রায়ই লন্ডন ফেরত এসব টিন এজারদের কথা মনে পড়ে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে বর্তমানে শুধু লন্ডন নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে আরব বিশ্বে বাংলাদেশের প্রচুর শ্রমিক কাজ করে। তারা দেশে বিশাল অংকের রেমিট্যান্স পাঠিয়ে একদিকে যেমন দেশের অর্থনীতিকে পুষ্ট করে অন্যদিকে  নিজ নিজ এলাকার সামাজিক পরিবেশ সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকারের নির্বিকার, অনেকক্ষেত্রে সহযোগী ভূমিকার কারণে এসব জায়গায় প্রায়ই মৌলবাদের বিস্তার ঘটে, দেখা দেয় পরমতের প্রতি তীব্র অসহিষ্ণুতা। আর সেই আগুনেই জ্বলে উঠে নড়াইল। সে কথা পরের পর্বে।

তবে এটাও ঠিক এ সমস্যা শুধু আমাদের নয়, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। কীভাবে? মনে পড়ছে কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এক বক্তব্য যখন তিনি তাঁর প্রশাসনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এলজিবিটির প্রতিনিধি রয়েছে বলে গর্ব করছিলেন। অথবা মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি যখন নিজেকে পরিচয় করিতে দিতে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার পরিবর্তে নিজেকে আফ্রো আমেরিকান, নারী, এলজিবিটি সদস্য এসব বলছিলেন। না, তিনি এলজিবিটি কম্যুনিটির সদস্য বলে আমার কোন আপত্তি নেই, কিন্তু তিনি বা মার্কিন প্রশাসনে যারা কাজ করবেন তাদের সেক্সুয়াল অরিয়েন্টেশনের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের পেশাগত যোগ্যতা। হয়তো অন্য অনেক দেশের ব্যাপারে আমি ততটা চিন্তিত হতাম না, কিন্তু যেহেতু আমেরিকার উপর বিশ্বের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশ অনেকাংশেই নির্ভর করে তাই সেখানে দক্ষ প্রশাসক আমাদের সকলের নিরাপত্তার জন্যই একান্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি না আমাদের দেশ আমেরিকাকে অনুসরণ করছে কি না, তবে একটা কথাই বলব, আর তা হল সমাজ এখন যেসব সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়, মস্কো, রাশিয়া