চলমান সংবাদ

সেনিটেশন কার্যক্রমের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে মেয়র

পরিকল্পিত নগরায়নে সেনিটেশন কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিতে হবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ এর সাথে মিল রেখে চট্টগ্রাম নগরীকে সেনিটেশনের কার্যক্রমে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। নগরীর উন্নয়ন ও নগর পরিকল্পনা কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। দেশের অর্থনীতি ও সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় রেখেই নগর সাজানোর পরিকল্পনা নিতে হয়। পরিকল্পিত নগরায়নে সেনিটেশন কার্যক্রমকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তা ও সুস্থতার জন্য সেনিটেশন সম্পর্কে জনগনকে সচেতন করতে হবে। চসিকের সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের উদ্যোগে নগরীর পাড়া, মহল্লায় উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সেনিটেশন সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টি করা গেলে এর সুফল পাওয়া যাবে। গতকাল বুধবার সকালে চসিকের বাটালী হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফের উদ্যোগে সেনিটেশন কার্যক্রমের ব্রিফিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউনিসেফের চীফ ফিল্ড অফিসার মাধুরী ব্যাণার্জীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র আফরোজা কালাম, বর্জ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, প্রফেসর ড. তানভীর আহমদ জাহেদ জুরী, ড. ইমাম হাসান, চসিক নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর জোবাইরা নার্গিস খান, লুৎফুন্নেছা দোভাষ, জেসমিন পারভীন জেসী, ফেরদৌসী আকবর, জাহেদা বেগম পপি, আনজুমান আরা, হুরে আরা বিউটি, তসলিমা বেগম নুরজাহান, শাহীন আক্তার রোজী, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম প্রমুখ।
মেয়র আরো বলেন, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া সেনিটেশন কার্যক্রমের সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সেনিটেশন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা জনবল নেই। পরিচ্ছন্ন বিভাগের মাধ্যমে এই কাজ সম্পাদন করা হয়। প্রয়োজনে এই কার্যক্রমের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা যায়। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সেনিটেশন সর্ম্পকে অনেকের ধারনা না থাকার কারণে নিজের বাড়ী নির্মাণ করতে গিয়ে সেফটি ট্যাংক নালা বা খালের সাথে সংযুক্ত করে দেয়। সেফটি ট্যাংক পরিস্কার করতে হয় এই ধারনাও অনেকের নেই। এই জন্য সচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরী। এখন থেকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা ও পরিবেশ অধিদপ্তর সমন্বিত পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করলে সেনিটেশন কার্যক্রমের সফলতা আসবে বলে তিনি মতপ্রকাশ করেন। বর্জ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আইন ২০২২-এ সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে বর্জ্য অপসারণের জন্য পৃথক তিনটি রং এর বিন ব্যবহার করতে হবে, সেই সাথে যেখানে সেখানে ময়লা আর্বজনা ফেললে ২ লাখ টাকা জরিমনা, ২ বছর কারাদন্ড বা উভয় দন্ড প্রয়োগ করার বিধানও রয়েছে। এই আইন সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শৃংঙ্খলা আসবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। সভাপতির বক্তব্যে মাধুরী ব্যাণার্জীর বলেন, বাংলাদেশে ১২টি সিটি কর্পোরেশন আছে। সিটি কর্পোরেশনগুলোতে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষের বসবাস। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ৬০ লাখের অধিক মানুষ বসবাস করে। কর্মসংস্থান ও দুর্বিপাকের কারণে দিন দিন নগরীতে ভাসমান মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই ভাসমান মানুষ গুলো স্বল্প আয় ও হতদরিদ্র, যার ফলে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি জনিত সমস্যায় ভুগে। এদের সবাইকে নিয়ে সেনিটেশনের কাজ করতে হবে। আমরা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নেতৃত্বে সেনিটেশন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পূর্ণ করতে পারব বলে আশা রাখি। # ৩০.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #