চলমান সংবাদ

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সাবেক বাম গেরিলা

কলম্বিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যবসায়ী রোডলফো হার্নান্ডেজকে হারিয়ে দিলেন বামপন্থি সাবেক গেরিলা নেতা গুস্তাভো পেট্রো।

হার্নান্ডেজ(বাঁদিকে)-কে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পেট্রো(ডানদিকে)

হার্নান্ডেজ(বাঁদিকে)-কে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পেট্রো(ডানদিকে)।

হার্নান্ডেজকে বলা হচ্ছিল কলম্বিয়ার ট্রাম্প। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতো এই ব্যবসায়ী নেতা খুব কম সময়ের মধ্যে অসম্ভব জনপ্রিয় হয়েছিলেন। কিন্তু তাকে অল্প ব্যবধানে হারিয়ে দিলেন সাবেক গেরিলা নেতা পেট্রো।

রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেখানেই দেখা যায় পেট্রো হারিয়ে দিয়েছেন হার্নান্ডেজকে। মূলত টিকটক ও ফেসবুকের কল্যাণে হার্নান্ডেজ অসম্ভব জনপ্রিয়। সাম্প্রতিক সময়ে এত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কলম্বিয়ায় হয়নি।

তবে পেট্রো শেষপর্যন্ত সাত লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। ফলাফলের পর পেট্রো বলেছেন, ”আজ মানুষের আনন্দ করার দিন। তাই আসুন আমরা আনন্দ করি। অনেক কষ্ট সহ্য করে এই জয় এসেছে।”

তিনি জয়ের পর যে ভাষণ দিয়েছেন, তাতে ঐক্যের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সরকার রাজনৈতিক দিক থেকে, আইনগত দিক থেকে বিরোধীদের শাস্তি দেয়ার রাস্তায় হাঁটবে না। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা ও আলোচনাই হবে সরকারের পথ। যারা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিলেন, তাদের কথা যেমন শোনা হবে, তেমনই কৃষক, আদিবাসী, নারী ও যুবদের কথাও শোনা হবে।

কলম্বিয়ার শহরে উড়ে বেড়ায় ফেনা

হার্নান্ডেজ হার স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ”আমার বিরোধী প্রার্থীকে বেছে নিয়েছেন সকলে। আমি আগেই জানিয়েছিলাম, ফলাফল যাই হোক মাথা পেতে নেব। আমি এই ফল মেনে নিচ্ছি।”

৬২ বছর বয়সি বামপন্থি পেট্রো একটি সংস্কার কর্মসূচিকে সামনে রেখে ভোটে লড়েছিলেন। তিনি সাবেক এম ১৯ আরবান রেবেল গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন। তার সম্পর্কে ও তার নীতি নিয়ে ভোটের আগে অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

কিন্তু পেট্রোর সমর্থকরা জানিয়েছেন, তিনি পেনশন প্রকল্পকে ঢেলে সাজাবেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে ফ্রি করবেন, এবং দেশের মধ্যে যে অসাম্য ও দারিদ্র্য আছে তার মোকাবিলা করার চেষ্টা করবেন। তিনি নতুন তেল ও গ্যাস প্রকল্পগুলি বন্ধ করবেন বলেও জানিয়েছেন।

পেট্রো জানিয়েছেন, ”আমরা ইতিহাস তৈরি করব।”

জিএইচ/এসজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)