চলমান সংবাদ

সীতাকুন্ডের কনটেইনার বিস্ফোরণ তদন্তে ঘটনাস্থলে সিআইডি ও বন্দর টিম

১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা, ৭টি ডিভিআর মেশিন জব্দ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ-আগুনে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা তদন্তে এবার ডিপোতে লাগানো ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ধারণকৃত দৃশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বিশেষজ্ঞ দল। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ও কারণ নির্ণয় করার চেষ্টা করা হচ্ছে। শনিবার (১১ জুন) সকালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি’র একটি টিম বিএম ডিপো পরিদর্শন করে ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিন জব্দ করেছে। একইদিন চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন গিয়েছিলেন। তারা ডিপোতে কর্মরত বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ডিপোটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর ছিল। পুরো বিএম কনটেইনার ডিপো ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হত। এসব ক্যামেরার মধ্যে ৩২টি ছিল আইপি সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষিত হতো সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে। বিস্ফোরণের ধ্বংসযজ্ঞে সবকটি সিসি ক্যামেরা ভস্মিভূত হয়েছে। ডিভিআর মেশিনও অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও সিআইডি’র দল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোর ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভার রুমে গিয়ে ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করেন। একইভাবে নষ্ট হওয়া ডিভিআরের ছবি তোলেন ও তথ্য সংগ্রহ করেন। আগুনের সূত্রপাত হওয়া স্পটটি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে সিআইডি টিমের সদস্যরা এসব আলমত থানা পুলিশ বা তদন্তকারী কর্মকর্তারা কাছে হস্তান্তর করেন। সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ জানান, শনিবার সকালে বিএম ডিপো থেকে আমরা কিছু ডিজিটাল আলমত সংগ্রহ করেছি বিস্ফোরণের কারণে আইটি কক্ষটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সিসি ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষণ করা ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে মেশিনগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চালিয়ে দেখার মতো অবস্থা নেই। তবুও পরীক্ষার উপযোগী করা যায় কি না, সে চেষ্টা করবেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। মামলা যেহেতু তদন্ত করছে থানা পুলিশ তাই আমরাও জব্দকৃত ডিজিটাল আলামতগুলোও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি। এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ডিপোতে প্রবেশ করেন চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত মেজর ওয়াহিদের নেতৃত্বে একটি টিম। তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্ত কনটেইনার ও শেইড ঘুরে দেখেন বলে বিএম ডিপোর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া কর্মকর্তারা সংবাদ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএম ডিপোতে অগ্নিকান্ডের কারণ, অগ্নিকান্ডের স্থান ও কিভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা সুনিদির্ষ্টভাবে কেউ বলতে পারছেন না। কেননা অগ্নিকান্ডের শুরুতে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন তাদের অনেকে মারা গেছেন। আবার কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে এখন কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না তদন্তকারী কর্মকর্তাদের। ফলে সিসি ক্যামেরাই এখন আসল ভরসা অগ্নিকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে। # ১১.০৬.২০২২ চট্টগ্রাম #