চলমান সংবাদ

রেলের সেবার মান বাড়াতে অংশীজন সভায় নানা অভাব-অভিযোগ-সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ

যাত্রী সেবা নিশ্চিত ও রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে যাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিদের নিয়ে অংশীজন সভার আয়োজন করা হয়। রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগ চট্টগ্রামের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৪ মে) চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ভিআইপি লাউঞ্জে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মুক্ত আলোচনার মধ্যে দিয়ে সেবার মান বাড়াতে রেলে পাথর নিক্ষেপ, ব্যাগ ছিনতাই, বিনা টিকেটে ভ্রমণ, টিকিট কালোবাজারি, রেলে হিজরাদের উৎপাত, রেলের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা, বিদ্যুৎ-পানি সমস্যা, প্ল্যাটফর্ম-বগি অপরিস্কার, ওয়াগন স্বল্পতাসহ নানা সমস্যা ও অভিযোগ তুলে ধরেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উর্ধতন কর্মকর্তারা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অভিযোগগুলো শুনেন এবং তা সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। সভায় সভাপতির বক্তব্যে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক (সিসিএম) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকিট কালোবাজারিতে রেলের লোকজন জড়িত না থাকলে এটা সম্ভব না। এক্ষেত্রে টিকিট গ্রহীতা এবং দাতা দুইজনই সমান অপরাধী। লোভ সংবরণ করুন। টিকিট কলোবাজারিতে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। তবে আগের তুলনায় রেলওয়ের সেবার মান বর্তমানে অনেক বেড়েছে। এরপরও সর্বোচ্চ যাত্রী সেবা নিশ্চিত ও রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরো উন্নত করতে আমরা চেষ্টা করছি। সেবা দাতাদের বক্তব্য ও সেবা গ্রহীতাদের অভাব-অভিযোগ জানতে নিয়মিত সভা করছি এবং উধর্ধতন কর্তৃপক্ষকে তা অবহিত করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, রেল গণমানুষের পরিবহন হওয়ায় যেমন যোগান বেড়েছে তেমনি যাত্রীদের চাহিদাও বেড়েছে। যা রেলের সক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি। রেল ভ্রমনের ক্ষেত্রে স্টাফদের যেমন আচরণের বিষয় আছে তেমনি যাত্রীদের আচরণের বিষয়টা বিবেচনা করতে হবে। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) আরমান হোসেন, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ইতি ধর, চট্টগ্রাম স্টেশন ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী, ম্যানেজার জাফর আলম, সাংবাদিক প্রীতম দাশ, বিজিএমইএ’র ডেপুটি সেক্রেটারি আব্দুল আউয়াল, কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা এ.কে.এম মনিরুজ্জামান, বুকিং সহকারী গিয়াস উদ্দিনসহ অনেকেই বক্তব্য রাখেন। স্টেশন-প্ল্যাটফর্ম পরিচ্ছন্ন রাখা, পানি-বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, টিকিট কালোবাজারি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া, সার্ভার আরো গতিশীল করা, টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধ করা, হিজড়ার উৎপাত বন্ধে কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ দেয়া হয়। রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মের অভিযোগ প্রমানিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। # ২৫.০৫.২০২২ চট্টগ্রাম #