চলমান সংবাদ

হাসপাতালে নেওয়ার পথে গর্ভবতী নারীর মৃত্যু

ডেলিভারির জন্যে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে হাসপাতালে নেওয়ার সময় জাহাজে এক গর্ভবতী নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১১ মে) সকালে সন্দ্বীপ চ্যানেল নদীতে এই ঘটনা ঘটে। নিহত গর্ভবতীর নাম কুলসুমা বেগম (২৮)। তাকে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার কুলসুমার প্রসব বেদনা উঠলে তারা স্থানীয় সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। রাতে মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক রোগীকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেয়। রাতে কোন ঘাটে সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে রোগী পারাপারের ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে সকালে এমভি আইভি রহমান জাহাজে তোলা হলে কিছুদূর যাওয়ার পর জাহাজেই তার মৃত্যু হয়। নিহত কুলসুমা বেগমের স্বামী সন্দ্বীপ পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে যদি সন্দ্বীপ থেকে চট্টগ্রামে রোগী পারাপারের ব্যবস্থা থাকতো তবে আমার স্ত্রী মারা যেত না। গত ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ যাওয়ার পথে কালবৈশাখী ঝড় ও জালের দড়ির সাথে আটকে স্পিডবোট উল্টে ৩ শিশু মারা যায় এবং এক শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে। এরপর নিরাপদ নৌযান দাবিতে আন্দোলনের পরে ২৪ এপ্রিল বিআইডব্লিউটিএ সন্দ্বীপসহ উপকূলীয় এলাকায় ১৫ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন। বিকল্প নৌযান ব্যবস্থা না করে এমন ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঘাট এলাকার টেক্সি চালক মো. মনজুর বলেন, স্পিডবোট উল্টে ৪ শিশু মারা যাওয়ার পর গত একমাস ধরে স্পিডবোট বন্ধ রয়েছে। এরপর প্রতিদিন ঘাটে এসে রোগীরা অপেক্ষা করে সার্ভিস অথবা জাহাজে আসা-যাওয়া করতে হয়। সী অ্যাম্বুল্যান্স থাকলেও তা চলেনা। সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি সি অ্যাম্বুল্যান্স থাকার পরেও একদিনের জন্যও যাত্রীরা সেবা পায়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল করিম জানান, সি অ্যাম্বুল্যান্সগুলো এই উত্তাল সাগরে চলাচলের উপযোগী নয়। এগুলো হাওর এলাকার জন্য নেওয়া হয়েছিল।

# ১১/০৫/২০২২, চট্টগ্রাম #