চলমান সংবাদ

ডাকাতি শেষে গ্রেপ্তার এড়াতে ট্রাক-লরী চালাতেন সীতাকুন্ডে হত্যা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি করতেন মো. নূর মোস্তফা শিমুল। ডাকাতি শেষে গা ঢাকা দিতে চট্টগ্রাম শহরে এসে ট্রাক বা লরী চালাতেন এবং নির্দিষ্ট সময়ের পরে গিয়ে আবারও ডাকাতির কাজ করতেন তিনি। সীতাকুন্ডের ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাট হত্যা মামলার পলাতক আসামিও এই ডাকাত শিমুল। এমন এক কুখ্যাত ডাকাত শিমুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (২৫ এপ্রিল) ভোররাত ৪ টায় নগরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শিমুল সীতাকুন্ডের পূর্ব সৈয়দপুর এলাকার আবুল মনসুর প্রকাশ জন মিয়ার ছেলে। র‌্যাব জানায়, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বিকালে সীতাকুন্ডের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি দাঊদ সম্রাটকে কিছু দুষ্কৃতিকারী ছুরি ও কিরিচ দিয়ে নির্মম ও নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন নিহতের মা বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে সীতাকুন্ড থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। র‌্যাব আরো জানায়, ঘটনার পর থেকে হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এর প্রেক্ষিতে গত ১৫ এপ্রিল মামলার অপর আসামি মো. মামুন প্রকাশ ডাকাত মামুন (২২) ও মো. নুরুল হুদা (২৫)’কে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া অন্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে নগরের পাহাড়তলী এলাকা থেকে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, আসামি শিমুল জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে সীতাকুন্ড থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ ৬টি মামলা রয়েছে। আসামি শিমুল ফেনী-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির অন্যতম মূলহোতা এবং সম্প্রতি সে কয়েকটি ডাকাতি করেছে। ডাকাতি শেষে গা ঢাকা দিতে চট্টগ্রাম শহরে এসে ট্রাক বা লরী চালাতো এবং নির্দিষ্ট সময়ের পরে গিয়ে আবারও ডাকাতি করতো। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। # ২৫.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #