চলমান সংবাদ

কুমিরা গুপ্তছড়া রুটে স্পীডবোট ডুবি ১শিশুর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ৩

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের কুমিরা টু সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া রুটে স্পীডবোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল নয়টায় গুপ্তছড়া ঘাটের কাছাকাছি এই দূর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনা এখন পর্যন্ত একজন শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে এবং ৩ শিশু নিখোঁজ রয়েছে।

জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে ২০ জন যাত্রী নিয়ে একটি স্পীড সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝ নদীতে আসার পর বোটটি কালবৈশাখী ঝড়ের মুখোমুখি হয়ে সন্দ্বীপ উপকূলের আসলে নদীতে থাকা জালের দড়ির সাথে লেগে বোটের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে ঢেউয়ের তোড়ে ডুবে যায়।

বোটে থাকা ১৭ জন যাত্রী লাইফ জ্যাকেট দিয়ে ভেসে কূলে উঠে। এরমধ্যে নুসরাত জাহান আনিকা (১২) নামে এক শিশু আহত থাকায় তাকে স্থানীয় স্বর্ণদ্বীপ ফাউন্ডেশন হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আনিকা মগধরা ইউনিয়নের ছাইয়ার বাড়ির আলাউদ্দিনের কণ্যা। তার মা স্বপ্না বেগম সহ তারা তিন বোন বাড়ি ফিরছিল। তার অপর দুইবোন আলিফা এবং আদিফা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

এই ঘটনায় সৈকত (১০) নামে অপর এক শিশু নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়েছেন তার মা সীমা বেগম। তিনি জানান, স্বামী ও দুই ছেলেমেয়ে সহ চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বোট ডুবিতে তার স্বামী ও মেয়ে উদ্ধার হলেও ছেলে সৈকত নিখোঁজ রয়েছে।

উদ্ধার হওয়া যাত্রী নজরুল জানান, বিদেশে থেকে আসা আত্মীয়কে নিয়ে আমরা ৪ জন একই স্পীড বোটে উঠি। সকাল সাড়ে আটটায় বোট কুমিরা ঘাট থেকে ছেড়ে সন্দ্বীপের একেবারে কাছাকাছি আসলে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে। কিছুদূর আসার পর বোট জেলেদের জালের সাথে আটকে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। তখন ঢেউয়ের তোড়ে বোট ডুবে যায়। আমরা ৪ জনসহ অনেকে লাইফ জ্যাকেট দিয়ে ভেসে কূলে উঠি। তবে সব মালামাল নদীতে চলে গেছে।

ঘাট ইজারাদার আনোয়ার চেয়ারম্যান জানান, কালবৈশাখী ঝড় ও জেলেদের জালের দড়ির সাথে আটকে বোট উলটে যায়। ঘটনার সাথে সাথে আমরা ১০/১২ টি বোট ও নৌকা দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করি। ড্রাইভার সহ ১৮ জন উদ্ধার হয়েছে। এখনো ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট খীসা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার শাহজাহান সহ কোস্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘাটে রয়েছেন।

# ২০.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #