চলমান সংবাদ

চবি শিক্ষার্থী-সিএনজি চালকদের সংঘাত বন্ধে ৭ সিদ্ধান্ত

– হামলাকারীদের শাস্তি দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেন চবি প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি বরাবর হামলায় জড়িতদের শাস্তি ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। এদিকে চবি শিক্ষার্থী-সিএনজি চালকদের সংঘাত বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রোববার (১৭ এপ্রিল) দুপুর ২টায় চাকসু ভবনে সিএনজি মালিক, ড্রাইভার, পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় প্রশাসন, চবি প্রশাসন চলমান সমস্যা সমাধানে বৈঠকে বসেন। এতে ৭টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে- চবি’তে স্টিকারযুক্ত ২৩টি সিএনজি ক্যাম্পাসে চলাচল করবে। সিএনজিগুলো পুরোপুরি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সিএনজি চালকদের জন্য নির্ধারিত পোশাক থাকবে, চালকদের ড্রাইভিং লাইন্সেস এবং এনআইডি প্রক্টর অফিসে জমা দিতে হবে, মালিকের গাড়ি কাগজপত্র প্রক্টর অফিসে জমা থাকতে হবে, ছাত্র এবং ড্রাইভার উভয়ের মধ্যে ভালো ব্যবহার করতে হবে ও রাত ১১টার পর ১০ টাকা করে ভাড়া দিতে হবে। প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষার্থীদের ওপর যেসব অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে এতে আমরা উদ্বিগ্ন। এ অবস্থায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় চরম বিঘœ ঘটছে। আমরা নিরাপত্তা চাই। ভবিষ্যতে যেন শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা না হয় সেজন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস তৈরির দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। আমরা মানববন্ধন থেকে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবি জানাচ্ছি। মানববন্ধনে হামলার শিকার ভুক্তভোগী প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্য ভট্টাচার্য বলেন, হামলার দিন আমি ডিপার্টমেন্টে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আসছিলাম। সেদিন ক্যাম্পাসে কী ঘটেছিল আমি কিছুই জানতাম না। অথচ ক্যাম্পাসে আসার পথে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করা হয়। ওরা বেশ কয়েকজন মিলে আমাকে বাঁশ, লাঠি, রড ও বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে। আজকে যারা শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত তুলছে, আগামীকাল তারা শিক্ষকদের মারবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই প্রশাসনের উচিত দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেল ক্রসিং এলাকায় চবি শিক্ষার্থী আরফাত রায়হানের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশা চালকের তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে স্থানীয় দোকানদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে আরাফাতকে মারধর করে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পেলেই অতর্কিত মারধর করেন স্থানীয়রা। এসব হামলায় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

# ১৭.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #