চলমান সংবাদ

চোরাই মোবাইলের আইএমইআই নম্বর পাল্টে বিক্রি, মূলহোতাসহ চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে চুরি-ছিনতাই করে নেওয়া মোবাইল ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর পাল্টে কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এদের একজন চোর-ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল সংগ্রহ করে। দুইজন আইএমইআই নম্বর পাল্টে সেগুলো অপরাধী চক্রের কাছে আবার বিক্রি করে। বুধবার (৬ এপ্রিল) রাতভর নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত তিনজন হচ্ছে- রিয়াজউদ্দিন বাজারের রয়েল প্লাজার ইনোভেটিভ ফোন কেয়ার নামে একটি দোকানের মালিক হাবিবুল্লাহ মিসবাহ (২৫) ও তার কর্মচারী মো. রাশেদ (২০) এবং মো. সাজ্জাদ (২০) নামে আরেক যুবক। তাদের কাছ থেকে ১১৭টি চোরাই মোবাইল ও আইএমইআই নম্বর পাল্টানোর বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালী থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাজ্জাদকে পাঁচটি মোবাইলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। সে জানায়, মোবাইলগুলো ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে কেনা। তার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে আরও ১১২টি মোবাইলসহ হাবিবুল্লাহ ও রাশেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই তিন আসামি চুরিকৃত ফোনসেটের আইএমইআই নম্বর পরিবর্তন করে অনেক সময় নিজেদের দোকানে আবার অনেক সময় বিভিন্ন নামি-দামি শপিংমলে মোবাইলগুলো বিক্রি করে। আটকের পর দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছে বলে স্বীকার করেছে তারা। ওসি জাহেদুল কবির বলেন, ‘সাজ্জাদ চোর-ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে মোবাইল সংগ্রহ করে হাবিবুল্লাহকে দেয়। হাবিবুল্লাহ ও রাশেদ মিলে মোবাইলের আইএমইআই নম্বরসহ যাবতীয় তথ্য পাল্টে ফেলে। একটি মোবাইলের প্রকৃত শনাক্তকরণ তথ্য পাল্টাতে তাদের সময় লাগে মাত্র এক মিনিট। এরপর মোবাইলগুলো তারা অন্তত ছয় মাস নিজেদের হেফাজতে খুবই গোপন স্থানে রেখে দেয়। ততদিনে যার মোবাইল চুরি বা ছিনতাই হয়েছে তিনি সেটির সন্ধান বন্ধ করে দেন। আইএমইআই নম্বর পাল্টে ফেলায় পুলিশের পক্ষেও সেটি শনাক্ত করা সহজ হয় না। ছয় মাস পর সেই মোবাইল আবার বিক্রি হয় সন্ত্রাসী চক্রের কাছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া জয় চৌধুরী নামে ওই পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

# ০৭.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #