চলমান সংবাদ

২৫০ শতাংশ বাড়তি বেতন-ভাতার প্রস্তাব প্রত্যাহার করেছেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এ.কে.এম ফজলুল্লাহ তাঁর বর্তমান বেতন থেকে ২৫০ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার যে প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের ৬৬তম সভায় তিনি নিজেই লিখিতভাবে এ আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রাম ওয়াসার ৬৫তম বোর্ড সভায় চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি নিজের বেতন এক লাখ ৮০ হাজার থেকে এক লাফে ২৫০ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেনন। বোর্ড তা অনুমোদন না দিয়ে বিষয়টি যাচাইয়ে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে পরবর্তী পর্ষদ সভায় প্রতিবেদন দিতে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তারও আগে ২০২১ সালের ৪ মে চট্টগ্রাম ওয়াসার ৬১তম পর্ষদ সভায়ও বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব তুলেছিলেন তিনি। সেবারও চট্টগ্রাম ওয়াসার বোর্ড সদস্যরা প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে কমিটি করোনার কারণে প্রতিবেদন দিতে পারেনি। বর্তমানে তাঁর মূল বেতন ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। তিনি চেয়েছিলেন সাড়ে ৪ লাখ টাকা। বেতন বৃদ্ধির প্রস্তাবে তিনি যুক্ত দেখান, ঢাকা ও খুলনা ওয়াসার এমডিদের বেতন তাঁর চেয়ে বেশি। এছাড়া গত ১০ বছরে তাঁর কোনও ইনক্রিমেন্ট হয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিবেচনা করে বেতন বৃদ্ধির সেই প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জানিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহ বলেন, করোনার এই সময়ে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করা ঠিক হবে না। মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও ভালো নয়। তাই বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছি। বোর্ড আমাকে সাধুবাদ জানিয়েছে। বর্তমান এমডি ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসায় ১৯৬৮ সালে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে ১৯৯৮ সালে অবসর নেন। এরপর ২০০৯ সালের ৮ জুলাই এক বছরের জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১১ সালে চট্টগ্রাম ওয়াসায় এমডি পদ সৃষ্টি করা হলে এই পদে নিয়োগ পান এ.কে.এম ফজলুল্লাহ। ছয় দফায় পুনর্নিয়োগ পেয়ে গত ১০ বছর ধরে এ দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। সর্বশেষ ২০২০ সালে ১ অক্টোবর আরও ৩ বছরের জন্য তাঁকে এমডি পদে নিয়োগ দেয় সরকার। এমডি পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর শুরুতে মাসে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা সম্মানি পেতেন তিনি। ২০১৬ সালে বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আবেদন করলে তাঁর মূল বেতন নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা, আপ্যায়ন, বিশেষ ভাতাসহ মিলিয়ে তিনি পাচ্ছেন মোট ৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যা ২০১৬ সালের মে মাস থেকে কার্যকর হয়েছে।
# ০১.০৪.২০২২ চট্টগ্রাম #