চলমান সংবাদ

স্বাধীনতার অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি- তথ্যমন্ত্রী

বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির রক্ষাকবচ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো অস্ফালন করে। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো সক্রিয়, তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে খুশি নয়। স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির রক্ষাকবচ এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। তারা নানাসময় দেশের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, করোনার সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, এখন তারা দেশের মানুষকে নিয়ে মশকরা শুরু করেছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তোলায় গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি সহজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২৫ মার্চ কালোরাতে গণহত্যা শুরু হয়েছিল, এটার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি, আমাদের সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি যৌক্তিক। কিন্তু যখন একটি দলের নেত্রী যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি যখন বলেন আসলে ৩০ লাখ মানুষ মারা যায়নি, তখন এই গণহত্যার স্বীকৃতি পেতে তো সেই প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মহল করে। বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার এই ধরনের বক্তব্য এবং যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিএনপির প্রচেষ্টা গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা। না হয় আমরা গণহত্যার স্বীকৃতি সহজে পেতাম। নগরের ষোলশহরের এলজিইডি অডিটোরিয়ামে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিতের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. মঈন উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কাশেম চিশতি, সদস্য ইফতেখার হোসেন বাবুল, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার প্রমুখ। তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমাদের দেশেও আমদানি নির্ভর কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু সেটি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। এতে নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী ১ কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দিয়েছেন। যাতে কম মূল্যে তারা টিসিবির পণ্য কিনতে পারেন। এতে জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে স্বস্তি আসাতে বিএনপি ও কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী নামধারীর অস্বস্তি বেড়ে গেছে।

# ২৫.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #