চলমান সংবাদ

চাহিদা-জোগানের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় করতে হবে- এফবিসিসিআই সভাপতি

করোনা পরিস্থিতি এবং বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাহিদা ও পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সাপ্লাই চেইন এবং সক্ষমতা কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, সরকারের নীতি নির্ধারণের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয়সাধনপূর্বক বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়লে দেশের রফতানিতে প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতাও বাড়ত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন মধ্যম আয়ের দেশ এবং উন্নত রাষ্ট্রে বাংলাদেশকে রূপান্তর করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আনুষঙ্গিক ইউটিলিটিজ নিয়ে ব্যবসায়ী সমাজকে সোচ্চার হতে হবে। এফবিসিসিআইর সভাপতি বলেন, শুধু উন্নয়ন নয়, টেকসই উন্নয়নের জন্য সবার একসঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। রাজস্ব প্রদান ইতিবাচক। ব্যবসার পরিসর বৃদ্ধি পাওয়া মানে রাজস্ব বৃদ্ধি পাওয়া। বর্তমানে যারা আয়কর দিচ্ছে শুধু তাদের ওপর না চাপিয়ে করের আওতা বাড়ানো দরকার। গ্রামীণ অর্থনীতি বর্তমানে অনেক শক্তিশালী। তাই উপজেলা পর্যায়েও রাজস্ব আহরণ করা যেতে পারে। গতকাল সোমবার (২১ মার্চ) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চট্টগ্রাম চেম্বারের উদ্যোগে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে দেওয়া সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি খলিলুর রহমান, চট্টগ্রাম উইম্যান চেম্বার সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, বিজিএমইএ’র ১ম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালক একেএম. আক্তার হোসেন ও মো. রকিবুর রহমান টুটুল প্রমুখ। মাহবুবুল আলম বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক রাজধানী করার ঘোষণা দিয়েছেন। তাই চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে তা সময়মতো সম্পন্ন করা হলে আগামী ৫-১০ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলে যুগান্তকারী পরিবর্তন হবে যা এসডিজি অর্জন ও ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সহায়ক হবে। তবে এক্ষেত্রে চট্টগ্রামে সরকারের দফতরগুলোর আরও বেশি ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। বেশির ভাগ চেম্বারেরই আর্থিক সঙ্গতি নেই। তাই চেম্বারগুলোকে করের আওতামুক্ত রাখা উচিত। চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কের মাধ্যমে ১৩ টনের বেশি মালামাল বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অথচ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমেই দেশের সিংহভাগ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পন্ন হয় এবং চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহন করা হয়।
# ২২.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #