চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ইউনিট-ওয়ার্ড সম্মেলন ও সদস্য নবায়ন সংক্রান্ত অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন নাছির

৩০ জুনের মধ্যে ইউনিট-ওয়ার্ড-থানা সম্মেলনের সিদ্ধান্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ইউনিট-ওয়ার্ড সম্মেলনে এবং সদস্য নবায়ন বা তথ্য ফরম বিলি-বন্টনের ব্যাপারে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা করেন সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন। এসময় অভিযোগকারীদের ওপর চড়াও হয়ে ক্ষুব্ধ বক্তব্যে তিনি বলেন, সদস্য নবায়ন বা তথ্য ফরম বিলি-বন্টন করা হয়েছে থানা, ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কের মাধ্যমে: এককভাবে কাউকে দেওয়া হয়নি। কাদেরকে এই তথ্য ফরম কিভাবে ক’খানা দেওয়া হয়েছে তার পরিসংখ্যান দলীয় কার্যালয়ে আছে। অভিযোগকারীরা তা কি জানেন? তিনি বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে দলের নেতৃস্থানীয় অংশের কেউ কেউ কেন্দ্রে কল্পিত অভিযোগ করে ইউনিট সম্মেলন কার্যক্রমকে স্থবির করে দেওয়া হয়েছে। আমরা শতাধিক ইউনিট সম্মেলন ইতোমধ্যে সম্পন্ন করেছি। দু-একটি ইউনিটের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ উঠেছে তার জন্য দায়ী হলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তারাই। তার জবাব দেবেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক নন যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত তারাই। আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, যারা দলীয় মঞ্চে পদ-পদবী ধারী হয়ে কথা বলছেন তাদেরকে জেনে-শুনে-বুঝে কথা বলতে হবে। শুধু কিছু বলতে হবে বলেই প্রমাণপত্র ও যুক্তিহীনভাবে মুখরোচক বক্তৃতার খৈ ফুটিয়ে নিজেকে ফোকাস করাটা প্রকৃতপক্ষে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করা এটা কোনোক্ষেত্রে আদর্শিক দায়বদ্ধতা হতে পারে না। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভায় থানা, ওয়ার্ড এবং ইউনিটকে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল করতে ১৫ টি থানায় সাংগঠনিক টিম গঠন করা হয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, দলের মধ্যে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা থাকবে এবং নিজেকে আরো বড় পদে যাবার টান বা আকর্ষণ থাকবে। কিন্তু এক্ষেত্রে যাতে কোনো অবাঞ্চিত ঘটনার সূত্রপাত না হয় সেইদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, দলের শৃংঙ্খলা ভঙ্গ, অনিয়ম বা পক্ষপাতিত্ব নিয়ে যে অভিযোগগুলো এসেছে তা যথাযথ কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা আমাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে কোনো ক্ষেত্রেই যাতে দলীয় কার্যক্রমে স্থবিরতা না আসে। সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমাদেরকে শুধু নেতা হওয়ার জন্য নয়, সংগঠনের অস্তিত্ব বজায় রাখতে নিজেদের সকল সামর্থ শক্তি উজার করে দিতে হবে। আমি কার ছেলে বা আমার পৈতৃক পরিচয় কি তা কখনো নেতৃত্বের মাপকাঠি হতে পারে না। আমাদের মধ্যে নানারকম তর্ক-বিতর্ক ও মতভিন্নতা থাকতেই পারে। কিন্তু এ নিয়ে চরিত্র হরন বা ক্রোন্দল কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান এম.পি., ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর সবুর, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী, এম. এ লতিফ এম.পি, বদিউল আলম, আব্দুচ ছালাম প্রমুখ।। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যকরী কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং আওতাধীন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন। বর্ধিত সভা শেষে বিকাল ৪টায় ১৫টি থানার গঠিত সাংগঠনিক কমিটির সমন্বয়কারীদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এম.পি দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার সমন্বয়কারীদের সাংগঠনিক বিষয়ে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। এই লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। # ২২.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #