চলমান সংবাদ

ইমপেরিয়াল হাসপাতালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২২ উদযাপন।

“বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অংগিকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই শ্লোগানে ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উদ্যোগে, আজ ১৭ই মার্চ ২০২২ খ্রিঃ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ইমপেরিয়াল শিশু মেলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে আমন্ত্রিত অভিভাবকবৃন্দ বিশেষ করে নবজাতকবৃন্দের বাবা মায়েরা তাদের মনের অনুভূতি ব্যক্ত করার পাশাপাশি ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া এক জন শিশুর অভিভাবকের অভিজ্ঞতার উপর নির্মিত একটি ভিডিও তথ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ইতিপূর্বে জন্মগ্রহণকারী নবজাতকবৃন্দদেরকে ইমপেরিয়াল বেবী ঘোষনা করা হয় ও উক্ত ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দের অভিভাবকবৃন্দকে প্রিভিলেজ (বিশেষ সুবিধা সম্বলিত) কার্ড ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়, এই প্রিভিলেজ কার্ডের মাধ্যমে ইমপেরিয়াল বেবীবৃন্দ আগামী দুই বছর পর্যন্ত এই হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা সহ বেশ কিছু আকর্ষনীয় সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সম্মানিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ রবিউল হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুকে বিশেষ মর্যাদা দেয়ার ঘোষনা দেন।  তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগের উন্নয়ন সাধন ও ধারাবাহিক ভাবে আরো অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা সংযোজন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ও এ ব্যপারে অভিভাবকবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, প্রখ্যাত শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ বাসনা মুহুরি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু ১৭ শতাংশ, যারা মূলত আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তাই তাদেরকে সুস্থ রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। তিনি বলেন, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৯৯০ সালে এ দেশে পাঁচ বছর বয়সের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার ছিল প্রতি ১০০০ জনে ১৭৫ থেকে ১৮৫ জন, কিন্তু ইউএনডিপির “সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-২০৩০” বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায়, স্বাস্থ্য বিষয়ক সরকারি নীতিমালার মাধ্যমে ও সরকারি – বেসরকারি হাসপাতালের বিবিধ উন্নয়নের কারনে ২০২১ সাল নাগাদ এই মৃত্যু হার ৩০ জনে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি বর্তমানে তার একটি গবেষনা কাজ করতে গিয়ে লক্ষ্য করছেন ইদানিং প্রতিদিনই চেম্বারে কিছু বাচ্চা রোগী অভিভাবকবৃন্দ নিয়ে আসছেন যারা ২-৩ বছর বয়সের হলেও কথা বলতে পারছেনা, এবং দেখা যাচ্ছে এই সকল বাচ্চাকে ৬ মাস বয়স থেকেই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ এর মাধ্যমে কার্টুন ছবি দেখানো হয়। এতে বাচ্চা গুলো মায়ের ভাষায় কথা বলতে অভ্যস্থ হচ্ছেনা, যা তার মানসিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব পরছে। তিনি অভিভাবকবৃন্দদেরকে এ ব্যপারে সাবধান থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ইমপেরিয়াল হাসপাতাল পরিবারকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ ধরনের একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।
অনুষ্ঠানে হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ ফয়সল আহমেদ হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনার উপর মুল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে গর্ভকালীন মায়ের যত্ন, অপরিপক্ক শিশুর যত্ন ও শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশ বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডাঃ হাসান জাহিদ, ডাঃ আরমান যাইদ, ডাঃ রহিমা আক্তার।
শিশুদের অভিভাবকবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন শাপলা পাল ও সৈয়দা মারিয়া হাসান। তারা বলেন প্রিমেচিউর শিশু জন্মের পর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় ইমপেরিয়াল হাসপাতালের শিশু বিভাগ এই অঞ্চলে অনন্য ও আসাধারণ। চট্টগ্রামবাসি সহ আমরা তাদের এই বিশ্বমানের সেবা পাচ্ছি এটাই আমাদের বড় প্রাপ্তি।
অনুষ্ঠানে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সমাপনী বক্তব্য রাখেন ইমপেরিয়াল হাসপাতালের নবজাতক ও শিশু রোগ বিভাগের সিনিয়র কনসাল্টেন্ট অধ্যাপক ডাঃ রাশেদা সামাদ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডাঃ ফারজানা হায়দার চৌধুরী।
# ১৭/০৩/২০২২, প্রেস বজ্ঞপ্তি #