চলমান সংবাদ

চসিক’র দোকান বরাদ্দে অনিয়মের মামলা, ২০ বছর পর আ’লীগ নেতাসহ সব আসামি খালাস

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ আসামির বিরুদ্ধে ২০০২ সালে দুদক’র করা মামলায় সব আসামিকেই অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ এ আদেশ দেন। এসময় অভিযুক্তদের মধ্যে ১৫ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, ‘দুদকের করা মামলায় চার্জশিটভুক্ত ২০ আসামির বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই তদন্ত কর্মকর্তা প্রমাণ করতে পারেননি। আমরা আদালতের কাছে তা উপস্থাপন করতে পারায় আদালত সম্পূরক চার্জশিটভুক্ত সব আসামিকেই বেখসুর খালাস দেন।’ আদালত সূত্রে জানা যায়, নগরের মুরাদপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্মিত ২৩টি দোকান ১৯৯৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয়। পত্রিকায় টেন্ডার ও যাচাইবাছাই ছাড়া দোকানগুলো বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগে ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর নগরের কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে দুদক। দুদকের তৎকালীন পরিদর্শক সামছুল আলম বাদি হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদিপ্রথমে আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। পরে সামছুল আলম বদলি হলে মামলাটি দুদকের আরেক পরিদর্শক মো. মবিনুল ইসলাম তদন্ত করে তিনিও আদালতে সাক্ষ্য স্মারক জমা দেন। মৃত্যুবরণ করায় প্রধান আসামি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, কেবিএম সিরাজ উদ্দিন, হাফেজ আহমদ ও খায়রুল আনোয়ারকে আগেই মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। দুদক কর্মকর্তা মবিনুল ইসলামের সাক্ষ্য স্মারকে উল্লেখ করা হয়েছিল, সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী উক্ত দোকান ইজারা সংক্রান্ত পত্রিকায় কোন বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেননি। প্রতিটি আবেদনপত্রের ওপর নিজের মনগড়া দোকানের মূল্য ও মাসিক ভাড়া নির্ধারণ পূর্বক লিখিত বরাদ্দ আদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে আরেক পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম আগের দুই তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য স্মারক পর্যালোচনা করে ২০০৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে বলা হয়, দোকানগুলো ভাড়া কিংবা ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কোন দাম কিংবা নীতিমালা তৈরি না করেই, কোন কমিটি না করেই, নিজেই প্রতিটি দরখাস্তের ওপর দোকানের মনগড়া দাম উল্লেখ করে দোকান বরাদ্দ প্রদান করেন। পত্রিকায় দরপত্র প্রকাশের মাধ্যমে দোকানসমূহ বরাদ্দ প্রদান করা হলে, অধিক মূল্যে এবং অধিক হারে মাসিক ভাড়ায় দোকানগুলো বরাদ্দ প্রদান সম্ভব হতো। এ ক্ষেত্রে মেয়র ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক নিজে লাভবান হওয়ার জন্য এবং অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশে মুরাদপুর যাত্রী ছাউনিতে নির্মিত ২৩টি দোকান বরাদ্দ প্রদান করে চসিকের ক্ষতিসাধন করেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু আদালতের কাছে দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রের অনুকূলে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয় দুদক। সেকারণে সব আসামিকেই খালাস দেন আদালত।

# ০১.০৩.২০২২ চট্টগ্রাম #