চলমান সংবাদ

শাটল সংকটের প্রতিবাদে চবির মূল ফটকে শিক্ষার্থীদের তালা

-আন্দোলনের দেড় ঘন্টা পর ৬টি বাস দেয়ার ঘোষণা কর্তৃপক্ষের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেন সংকট সমাধানের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট এলাকায় চবি’র প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এমনিতে শিক্ষার্থীর তুলনায় শাটল সংখ্যা অপ্রতুল। এর মধ্যে তিন জোড়া শাটল ও দুই জোড়া ডেমু বন্ধ থাকায় ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে কয়েকগুণ। শাটলে সিট খালি তো দূরের কথা তিল ধারণের ঠাঁই পর্যন্ত নেই। বাধ্য হয়ে অনেককে ঝুঁকি নিয়ে শাটলের ছাদে উঠতে হচ্ছে। সশরীরে ক্লাস শুরুর ৫দিন পেরিয়ে গেলেও দুর্ভোগের সমাধান পাননি শিক্ষার্থীরা। এসময় অবিলম্বে শাটল ও ডেমু ট্রেনের স্বাভাবিক শিডিউল দেয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুশিয়ারিও দেন তারা। এদিকে আন্দোলনের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ছয়টি বাস চালুর ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চবি’র প্রধান ফটকে তালা দেয়ার ঘণ্টা খানেক পর ৬টি বাস চালুর ঘোষণা দেয় প্রশাসন। চবি’র প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ৬টা বাস চালুর ঘোষণা দিয়েছি। প্রতিদিন বটতলী রেল স্টেশন এলাকা থেকে দুই নম্বর গেইট হয়ে সকাল সাড়ে ৭টায় দুইটা বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে। একই পথ অনুসরণ করে দুপুর আড়াইটায় ২টা বাস ও সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় ২ টা বাস শহরের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাবে। জানা যায়, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে মাইলেজ ইস্যুতে কর্মবিরতিতে যায় লোকো মাস্টাররা (ট্রেন চারক)। এতে করে সারাদেশের রেল যোগাযোগ সংকটে পড়ে। লোকো মাস্টার সংকটে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জোড়া শাটল ট্রেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে দুইদিনের মাথায় লোকো মাস্টাররা আন্দোলন স্থগিত করলে ফের স্বাভাবিক হয়ে যায় সারাদেশের রেল যোগাযোগ। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চালু হয়নি গত একমাসেও। এর আগে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে গত নভেম্বর মাস থেকে বন্ধ রাখা হয় দুই জোড়া ডেমু ট্রেন। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘লোকো মাস্টার সংকটের কারণে আমরা শাটল ট্রেনের শিডিউল স্বাভাবিক করতে পারছি না। আমাদেরকে সময় দিতে হবে। আন্তঃনগর ট্রেন থেকে গার্ড এনে চবির শাটলগুলোতে দিতে গেলেও ঝামেলা। পুরো দেশে ট্রেন চলাচল ব্যহত হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘করোনার মধ্যে আমাদের অনেক গার্ড অবসরে চলে গেছেন। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা অবসরপ্রাপ্তদের আবার দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে রাজি হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যে চবির শাটল ট্রেন সংকট সমাধান হবে।’

# ২৭.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #