বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বিজ্ঞান ভাবনা (৩৩)

-বিজন সাহা

আমার ছাত্র জীবন কেটেছে মস্কোর গণ মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্যাট্রিস লুমুম্বা নামেই সে বিশ্বের কাছে পরিচিত ছিল। সেখানে এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার শতাধিক দেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করত। বিভিন্ন ছিল তাদের ভাষা, বিভিন্ন ছিল তাদের সংস্কৃতি। তেমনি বিভিন্ন ছিল তাদের মেজাজ মর্জি, তাদের চলন বলন। একটা জিনিস খেয়াল করেছি তাদের জীবনযাত্রা ভাষার সাথে খুব সম্পৃক্ত ছিল। যেমন স্প্যানিশ ভাষাভাষীরা প্রায় সবাই প্রচণ্ড রকম প্রাণোচ্ছল ছিল আর ওদের কথাগুলো যেমন নদীর কলতান। আসলে ওখানে পড়াশুনা না করলে আর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাষায় কথা না শুনলে জানাই হত না যে ভাষার একটা নিজস্ব সুর আছে, ছন্দ আছে। ওখানেই প্রথম জানি যে এমনকি বিভিন্ন ভাষায় কিছু কিছু বিশেষ শব্দ বা সাউণ্ড আছে যেটা তার একেবারেই নিজস্ব আর সেটা মনে হয় ভৌগলিক কারণে। রুশ ভাষায় কিছু বর্ণ আছে যার সঠিক উচ্চারণ বিদেশীদের পক্ষে করা সত্যিই কঠিন। আর এর ফলেই জন্ম নেয় আক্সেন্ট। বিভিন্ন দেশের মানুষের আক্সেন্ট বিভিন্ন রকম। তখন আমরা নিজেদের মধ্যে রুশ ভাষায় কথা বলতাম আর বিভিন্ন জনের রুশ বলার ভঙ্গি বা আক্সেন্ট থেকে বোঝা জেত সে কোন এলাকার বা সেই লোকের ভাষা কি। কোন কোন ভাষায় কোন কোন শব্দ বা সাউন্ড একেবারেই অনুপস্থিত। যেমন আবরদের প বলে কোন শব্দ (সাউন্ড) নেই। কোন শব্দে প থাকলে ওরা ব দিয়ে সেটা বলে। এ নিয়ে আমরা প্রায়ই হাসিঠাট্টা করতাম। একটা কমন বাক্য ছিল – “চল, বিয়ার খেতে যাই” যার রুশ “পাইদিওম, পাপিওম পিভা” আর আরবদের উচ্চারণে “বাইদিওম, বাবিওম বিভা”। আমাদের ছোটবেলায় গ্রামে অনেক বিদেশী আসত যুদ্ধের পরপর বিভিন্ন সাহায্য দিতে আর কালীগঙ্গা সড়ক সেতু বা তরা ব্রিজের কাজকর্ম কেমন চলছে সেটা পরিদর্শন করতে। আমরা অবাক হয়ে শুনতাম ওরা বাংলাদেশকে ব্যাংলাডেস বলে উচ্চারণ করছে। তবে কথ্য ভাষা যতটা না জাতীয় তারচেয়ে বেশি আঞ্চলিক। একজন বাঙালি যদি খুব ছোটবেলা থেকেই অন্য দেশে বাস করে আর সেখানকার পরিবেশে বড় হয় (মানে সেখানে স্কুলে যায়, সেখানকার ছেলেমেয়েদের সাথে মেলামেশা করে, খেলাধুলা করে) তাহলে সে একেবারে স্থানীয়দের মতই কোন রকম আক্সেন্ট ছাড়াই ঐ ভাষায় কথা বলে। আবার একই দেশে একই ভাষা বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ভাবে বলে যাকে আমরা বলি স্থানীয় ডায়ালগ। রুশরা বলে বাচ্চারা কথা শেখে রাস্তায়, মানে যে পরিবেশে মানুষ হয় সেই পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় শিশুর ভাষা। আর এ কারণেই দেখা যায় অনেক ভদ্র ঘরের সন্তান রাস্তার মানুষের মত কথা বলছে, আবার সাধারণ পরিবারের সন্তান শুধুই পরিবেশের কারণে ভদ্র ভাষায় কথা বলছে। শুধু তাই নয়, কি শিখছে, কি বলছে তার উপর নির্ভর করে গড়ে উঠছে তার চরিত্র। সে অর্থে জাতীয় জীবনে ভাষার গুরুত্ব অপরিসীম।

 

বরাবরের মত জাতি আবারও পালন করল শহীদ দিবস আর আন্তর্জাতিক কমিউনিটি পালন করল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশ বাঙালির জন্য শুধু ভাষা দিবস নয়, একুশ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব বাঙালির গর্ব, সব বাঙালির অহংকার। যদিও ভাষা আন্দোলন হয়েছিল ঢাকায় তার আবেদন সে আমলেই দেশের গণ্ডী ছাড়িয়ে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিম বঙ্গে ও ত্রিপুরায়  ছড়িয়ে পড়েছিল।

কী এই ভাষা মানুষের জন্য? আমার মতে ভাষা মানুষের অন্যতম মৌলিক বৈশিষ্ট্য। ভাষা কি শুধু একান্তই মানুষের?  না, অধিকাংশ প্রাণীর, অন্তত উন্নত প্রাণীর নিজস্ব ভাষা আছে। একসময় আমাদের দাবি ছিল সবার জন্য অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বাসস্থানের। এগুলো আমরা বলতাম মানুষের মৌলিক অধিকার। আমার ধারণা ভাষার দাবি আরও বেশি মৌলিক। অন্তত মানুষের জন্য তো বটেই।

একটু খেয়াল করলে দেখব বস্ত্র বাদে আর সব, মানে খাদ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা, বাসস্থান – এসব শুধু মানুষের নয় – অনেক উন্নত প্রাণীর মৌলিক চাহিদার মধ্যে পড়ে। খাদ্যের কথা বাদ দিলাম, কেননা বেঁচে থাকার জন্য সেটা সব প্রাণীর দরকার। প্রতিটি প্রাণী মাথা গোঁজার ঠাই খোঁজে – সেটা রাত/দিন কাটানোর জন্যই হোক, বংশ বিস্তারের জন্যই হোক অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্যই হোক। প্রতিটি প্রাণীই অসুস্থ হয় অথবা খাদ্যের জন্য লড়াইতে আহত হয়। তখন তারা বনে জঙ্গলে যায় গাছগাছালির খোঁজে। এর মানে চিকিৎসা ব্যাপারটা তাদের অজানা নয়। প্রতিটি প্রাণী তাদের বাচ্চাদের শিশুকালে বিভিন্ন শিক্ষা দেয় যাতে তারা পরবর্তীতে এই বিপদ সংকুল পৃথিবীতে নিজেরাই করে খেতে পারে। এমন কি তাদের ভাষা আছে। হ্যাঁ, তারা  নিজের নিজের মত করে মনের ভাব প্রকাশ করে। ঝগড়া করার সময় তারা এক ধনের শব্দ করে, ভালোবাসার শব্দ একেবারেই ভিন্ন, আবার বিপদে পড়লে তাদের ডাকে আমরা আকুতির ইঙ্গিত পাই। এটা আমাদের কাছে নেহাত শব্দ মনে হলেও আমার বিশ্বাস এটা তাদের ভাষা যা অর্থ বহন করে। হ্যাঁ, ভাষা হল শব্দ (সাউন্ড) যা মনের ভাব প্রকাশ করতে সাহায্য করে। সেদিক থেকে এমনকি ভাষাটাও বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে, জীবের বিবর্তনের এক পর্যায়ে অনেক কিছুর মত সে ভাষাটাও পেয়েছে প্রকৃতির কাছ থেকে। প্রশ্ন হল মানুষের ভাষা অন্যদের চেয়ে ভিন্ন কেন?

খেয়াল করলে দেখব অধিকাংশ প্রাণীর পরিকল্পনা স্বল্পমেয়াদী। বিভিন্ন প্রাণী এমনকি আগামী কয়েক দিনের জন্যও খাদ্য সংরক্ষণ করে না, যদিও কেউ কেউ শীতের খাবার সংগ্রহ করে। কিন্তু মানুষের পরিকল্পনা দীর্ঘমেয়াদী। এবং তার কারণও মনে হয় ভাষা।

মানুষের ভাষা শুধু কথ্য ভাষাই নয় সেটা লিখিত ভাষাও। আর এই লিখিত রূপ মানুষের ভাষাকে স্থান কালের গণ্ডীকে অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে। অন্য প্রাণীরা শুধুমাত্র তাদের সাথে মত বিনিময় করতে পারে যারা তাদের সমসাময়িক ও তাকে শুনতে পারে এই দূরত্বে অবস্থান করে। কিন্তু বর্ণমালা আবিষ্কারের ফলে মানুষ যেমন পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে তার কথা পৌঁছে দিতে পারে (চিঠির মাধ্যমে, আর আজকাল তো প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু কথা বলাই যায় না, পরস্পরকে দেখাও যায়) তেমনি সে তার কথা, তার ইতিহাস রেখে যেতে পারে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এক সময় মানুষ কবিতা বা ছন্দের মাধ্যমে তাদের ইতিহাস রেখে যেত পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। এভাবেই আমরা রামায়ণ, মহাভারত থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থ পেয়েছি। প্রাচীন কালের বিভিন্ন মহাকাব্য বাদেও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ তাদের লিখিত রূপ পেয়েছে অনেক পরে। তবে একথা ঠিক এমনকি বর্ণমালা আবিষ্কারের অনেক আগেই মানুষ চেষ্টা করেছে তার কথা ভবিষ্যতের জন্য রেখে যেতে। বিভিন্ন গুহাচিত্র সেটাই প্রমাণ করে। এখন পর্যন্ত অনেক প্রাচীন লিপির মর্মার্থ আমরা উদ্ধার করতে পারিনি। তাছাড়া এই বর্ণমালার মাধ্যমে মনের ভাব প্রকাশ করার মধ্য দিয়েই জন্ম নিয়েছে সাহিত্য। শুধু কি তাই? জ্ঞান বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা প্রশাখার জন্মও এই বর্ণমালাকে কেন্দ্র করেই। ভাষাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে মানুষের সংস্কৃতি। এক কথায় মানুষের ভাষাই তাকে মানুষ করেছে।

 

আমার রুশ বন্ধুরা প্রায়ই প্রশ্ন করে – “তুমি কোন ভাষায় ভাব?” আসলে মানুষের ভাবনা অনেকটাই নির্ভর করে ভাষার উপর। যখন কাজের মানে ফিজিক্সের সমস্যা নিয়ে ভাবি – সেটা হয় ইংরেজিতে অথবা রুশে। এটা এ কারণে যে এ বিষয়ে আমার পড়াশুনা এই দুই ভাষায়। আবার দোকানে গেলে ভাবনাটা রুশেই হয়। দেশ নিয়ে, দেশের রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে যখন ভাবি – সেটা বাংলায়। একই ভাবে এ দেশের কথা ভাবলে রুশে। যেহেতু ভাষাটা ভাবনার জগতকে নিয়ন্ত্রণ করে তাই দেশ বা জাতির জন্য ভাষাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমাদের আমলা, আমাদের বিচারক, আমাদের মন্ত্রী, আমাদের নেতা, আমাদের শিক্ষক – দৈনন্দিন জীবনে বাংলা ব্যবহার না করেন তাদের পক্ষে দেশের স্বার্থে কিছু ভাবা অনেক কঠিন। আর এ জন্যেই সর্ব স্তরে মাতৃভাষা চালু করা এতটা গুরুত্বপূর্ণ।

ইতিহাস থেকে আমরা জানি রাজ দরবারে ছিল এক ভাষা আর সাধারণ মানুষের অন্য ভাষা। প্রাচীন ভারতে দরবারের ভাষা ছিল সংস্কৃত। বাদশাহি আমলে ফার্সি আর ব্রিটিশ আমলে ইংরেজি। এটাও জানি ব্রিটিশ আমলে দেশীয় লোকজনদের যখন ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয় সেটা মূলত আইসিএস মানে সরকারের আমলা তৈরি করার জন্য। আর সরকারের আমলা সে যে সরকারের বা ঐ অর্থে ব্রিটিশের স্বার্থ রক্ষা করবে। এটাও প্রমাণ করে কোন জাতিকে দাবিয়ে রাখতে হলে কেন প্রথমেই তার ভাষার উপর আক্রমণ নেমে আসে।

বলা হয় স্বাধীনতা অর্জন করা যত কঠিন তারচেয়েও বেশি কঠিন সেটা রক্ষা করা। ঠিক একই ভাবে পরীক্ষায় পাশ করা কঠিন তবে লব্ধ জ্ঞান বাস্তবে প্রয়োগ করে জীবিকা অর্জন করা আরও কঠিন। ঠিক একই কথা বলা চলে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রায় সব ক্ষেত্রেই। সেদিক থেকে ভাবলে ভাষা আন্দোলন এমনকি স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ ছিল পরীক্ষায় পাশের মত। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনীতি ও অর্থনীতির কাছে ভাষাটা হেরে গেছে, হারছে। আর এ কারণেই এমনকি সরকারের উদ্যোগেই পাঠ্যসূচী থেকে উঠে গেছে সেই সব লেখকদের লেখা যারা বাংলা ভাষাকে বিশ্বনন্দিত করেছেন। একাত্তরের চেতনা থেকে আমরা দূরে সরে যেতে শুরু করেছি অনেক আগেই। আর ভাষার উপর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ আঘাতের মধ্য দিয়ে আমরা বাহান্ন থেকেও দূরে সরে যাচ্ছি। সরকার ও প্রশাসনের অবহেলায় বাংলা ভাষায় ব্যাপক ভাবে বিভিন্ন বিদেশি শব্দের, বিশেষ করে আরবি শব্দের অনুপ্রবেশ ঘটছে। পরিবর্তন আসছে পোশাকে-আশাকে। সেই সাথে বদলে যাচ্ছে সংস্কৃতি। আগেই বলেছি ভাষা শুধু ভাষা নয়, ভাষা মানুষের পোশাক পরিচ্ছদ, তার চলন বলন, তার সংস্কৃতির নিয়ন্ত্রক। প্রগতি বা ধর্মের দোহাই দিয়ে পোশাক পরিচ্ছদ, চালচালনে যেকোনো আগ্রাসী পরিবর্তন ভাষার উপর প্রভাব ফেলতে বাধ্য আর ভাষার সাথে আসবে জাতিসত্তার পরিবর্তন। আজ দেশে যত যত্ন করে ইংরেজি বা আরবি শেখানো হয় বাংলা ভাষার প্রতি ততটাই অবহেলা দেখানো হয়। আর সে কারণেই এমনকি বিশাল বিশাল ডিগ্রিধারী অনেক লোকজন শুদ্ধ ভাবে বাংলা লিখতে পারে না। পারে না এ কারণে নয় যে তাদের মেধা কম, পারে না, কারণ ইংরেজি বা অন্য কোন বিদেশি ভাষার মত বাংলাও যে শুদ্ধ করে লিখতে হবে এটা তার মাথায় আসে না। ভুল ইংরেজি লেখার জন্য সে দশবার সরি বলবে, কিন্তু ভুল বাংলা লিখে সেটাকে জাস্টিফাই করার জন্য হাজারটা যুক্তি দাড় করাবে। আবার একদল লোক ভাষা নিয়ে স্ট্যাটাস দেবে – “শহীদ মিনারে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ” – এখানে শহীদ আরবি, মিনার ফার্সি আর পুষ্প সংস্কৃত শব্দ।“ সত্যিই কি তাই? এসব শব্দের ব্যুৎপত্তি বিদেশী হলেও এখন তারা বাংলা ভাষার অন্তর্গত। একজন বাঙালি আমেরিকার নাগরিকত্ব পেলে সে জাতিগত ভাবে বাঙালিই থেকে যায় যদিও আমেরিকার নাগরিকের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। এতে করে তার আমেরিকান আইডেন্টিটি ক্ষতিগ্রস্থ হয় না। একই কথা বলা চলে কোন ভাষায় ঢুকে পড়া  বিদেশী শব্দ সম্পর্কেও। তবে অন্য দেশে ঢোকার জন্য যেমন আইনি পদ্ধতি আছে, ভাষা বা সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও তাই। আমাদের দেশে আজকাল ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেক কিছুই আমাদের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতিকে গ্রাস করছে যা সত্যই ভীতিকর। কারণ ভাষার লড়াই শুধু ভাষার জন্য ছিল না, ছিল বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, বাংলার কবি গান, জারি গান, লালন গীতি, বাউল সঙ্গীত, পয়লা বৈশাখ, নবান্ন, ঈদ, পূজা এসব কিছুর জন্যই। যখনই এদের কারও না কারও উপর আঘাত আসে, সে আঘাত আসলে আসে একুশের চেতনার উপর, আসে বাংলা ও বাঙালির উপর।

 

গবেষক, জয়েন্ট ইনস্টিটিউট ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ, দুবনা
শিক্ষক, পিপলস ফ্রেন্ডশিপ ইউনিভার্সিটি, মস্কো