চলমান সংবাদ

কচুর ভেতরে করে ইয়াবা পাচার, তিন বোন গ্রেপ্তার

-ভেজাল ঘি তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ১

কক্সবাজার থেকে অভিনব কায়দায় কচুর মুখীর ভেতরে করে ইয়াবা পাচার করা হচ্ছিল চট্টগ্রামে। এই চালানে ছিল ৫৬ লাখ টাকার ইয়াবা। ইয়াবার এই বিশাল চালান জব্দ করেছে র‌্যাব। একই সঙ্গে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আট বোনের মধ্যে তিন বোনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭। এদিকে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়াতে ভেজাল ও নিম্নমানের বিষাক্ত ফ্লেভার, পাম ওয়েল-ডালডার সংমিশ্রণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধের কোন উপাদান ছাড়াই ঘি তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। এসময় গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি জব্দ করা হয় এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) র‌্যাব’র পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই অভিযানের বিষয়ে জানানো হয়। র‌্যাব জানায়, বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায় একটি যাত্রীবাহী সিএনজিতে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ ফাতেমা বেগম ওরফে মুনু ওরফে আনোয়ারা (৪০), হালিমা বেগম (৩২), এবং আসমাউল হুসনা (২৬)কে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো কচুর মুখীর ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১৮ হাজার ৬শ’ পিস ইয়াবাসহ তিনবোনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই আপন বোন এবং কক্সবাজারের বাসিন্দা। ফাতেমা বেগম মাদক ব্যবসা ও পাচারের মূলহোতা। মাদক ব্যবসাই হচ্ছে ফাতেমার পারিবারিক ব্যবসায়। তার পরিবারের আট বোনের সবাই মাদক (ইয়াবা) ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। র‌্যাব-৭’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার জানান, মাদক পাচারের নিত্য নতুন কৌশল হিসেবে এ মাদক ব্যবসায়ীরা নিজের পাঁচ মাস বয়সী বাচ্চাকেও সঙ্গে নেয়। যাতে কেউ তাদের সন্দেহ না করে। প্রথমে তারা সবজির উপরের অংশ (কচুরমুখী) কেটে ভেতরে খালি করে ইয়াবা লুকিয়ে রাখে। তারপর পলিথিনের ব্যাগে মুড়িয়ে ইয়াবা রাখে। এসবের উপর টমেটো এবং অন্যান্য শাকসবজি নিয়ে যায়। তারা দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার থেকে ইয়াবা এনে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট পাচার করে আসছে। এদিকে নগরের বাকলিয়ার চাকতাই এলাকার একটি গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘিসহ মো. সাজ্জাদ (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা নূরুল আবছার জানান, চাকতাই এলাকার তিন তলা ভবনের নিচতলার গুদামের ভেতরে বিক্রির উদ্দেশ্যে ভেজাল ও নিম্নমানের বিষাক্ত ফ্লেভার, পামঅয়েল ও ডালডার সংমিশ্রণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধের কোনো উপাদান ছাড়াই ঘি তৈরির কাজ করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গুদাম থেকে বিপুল পরিমাণ ভেজাল ঘি জব্দ করা হয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়াই অবৈধভাবে নিম্নমানের উপাদান দিয়ে ঘি উৎপাদন করে আসছিল। এছাড়াও তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি এসব ঘি বিভিন্ন কোম্পানির নামে বাজারজাত করে থাকে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
# ১৮.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #