চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো হচ্ছে ক্যাটেল এক্সপো

চট্টগ্রামে প্রথমবারের মত আয়োজন করা হয়েছে ‘চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপো-২০২২’। আগামী শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) নগরের কাজীর দেউড়ি আউটার স্টেডিয়ামে ক্যাটেল ফার্মাস কমিউনিটি এবং ইউনিট্রেড ইভেন্টস উদ্যোগে দিনব্যাপী এ এক্সপো চলবে। এতে প্রাকৃতিক উপাদানে পালিত প্রায় ৩২টি এগ্রো ফার্ম অংশগ্রহণ করবে এবং তাদের ১০০টি ষাড় প্রদর্শিত হবে। বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানান ‘চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপো-২০২২’ সভাপতি মোহাম্মদ আকতার হোসেন জ্যাকি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, যেভাবে পশু মোটাতাজাকরণ করা হয় তা স্বাস্থ্যবান্ধব নয় এবং পুষ্টিরও যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক উপাদানে মোটাতাজাকরণ যথেষ্ট খাদ্যবান্ধব এবং পুষ্টিতে ভরপুর। এই মেলার মূল উদ্দেশ্যে হলো সামষ্টিক প্রণোদনায় ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের প্রানিত করা এবং প্রাকৃতিক উপাদানে মোটাতাজাকরণ এবং মাংসজাত খাদ্যপ্রানির লালন পালনকে সাধারণের মধ্যেই জনপ্রিয় ও গ্রহনযোগ্য গড়ে তোলা। এই আয়োজনে এগ্রো উদ্যোক্তা সম্পূর্ণ দেশীয় খাদ্য ও উপাদানে পালিত প্রাণির শারীরিক ওজন বৃদ্ধিতে অভিজ্ঞতা লব্ধ অভিজ্ঞান ও তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করবে। দিনব্যাপী এই আয়োজনে আরো থাকবে দেশীয় ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতির বর্ণিল উপস্থাপনা, ক্যাটেল ফ্যাশেন-শো এবং বরেণ্য অতিথিদের সম্মাননা প্রদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তাদের জেগে ওঠার গল্প গাথা। চট্টগ্রামে ক্যাটেল এক্সপো-২০২২ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবদুস সবুর লিটন, এসিআই এগ্রিবিজনেজ এর প্রেসিডেন্ট ড. ফাহ আনসারী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি এম. মাহবুবুল আলম, নাহার এগ্রোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ব্রিডার ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রাকিবুর রহমান (টুটুল)। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ক্যাটেল এক্সপোর প্রধান সমন্বয়ক বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন, ইউনিট্রেড ইভেন্টস’র প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ ওসমান গণি, সদস্য সচিব ওয়াসিফ আহমেদ ছালাম প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা খামারি খাতে সম্পৃক্ত হওয়ায় মাংস জাতীয় খাদ্যের যোগানে দেশ অনেকখানি স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি অনেক শিক্ষিত তরুণ আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি আরও অধিকতর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে। নিকট অতীতে কোরবানীর সময় ভারত থেকে বৈধ ও অবৈধভাবে পশু আসত। এতে বৈদেশিক মুদ্রা ও হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার হতো। শিক্ষিত তরুণ যুবকরা সরকারি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই শিল্পের দিকে ঝুঁকছে। এতে যেমন বেকার সমস্যার সমাধান হচ্ছে ও মাংসজাত খাদ্যে দেশ স্বয়ং সম্পূর্ণ হচ্ছে।

# ১৬.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #