চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আগুনে দগ্ধ দুই কলেজ ছাত্রী

নগরীর বাকলিয়ার একটি বাসায় বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট আগুনে দুই বোন দগ্ধ হয়েছেন। গ্যাস জমে ওই বাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। বিস্ফোরণে ওই বাসাসহ আশপাশের তিনটি বাসার দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র বিধ্বস্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল চান্দাপুকুর পাড় এলাকায় বিসমিল্লাহ টাওয়ার নামে একটি ভবনের পঞ্চম তলায় এ ঘটনা ঘটে। আগুনে দগ্ধ দু’জন হলেন- সাবরিনা খালেদ (২৩) ও সামিয়া খালেদ (১৮)। তাদের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, বিসমিল্লাহ টাওয়ারের দুই তলা পর্যন্ত একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে। পাঁচতলা ভবনটির বাকিগুলোতে ভাড়া বাসা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভবনের পঞ্চম তলায় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। এ সময় কফিল উদ্দিন নামে স্থানীয় একজন বিস্ফোরণ দেখে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯’এ ফোন করেন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আসলেও এর আগেই ওই ভবনের লোকজন আগুন নিভিয়ে আগুনে দগ্ধ দু’জনকে বের করে আনে। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অগ্নিদগ্ধ সামিয়া নগরীর সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসীন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। বড় বোন সাবরিনাও একই কলেজের অনার্সের ছাত্রী। চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক রফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘উভয়ের শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ ফায়ার সার্ভিসের চন্দপুরা স্টেশনের সিনিয়র অফিসার শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয়রা নিভিয়ে ফেলে। যে বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে, সেই বাসার দরজা-জানালা এবং আসবাবপত্র বিধ্বস্ত হয়েছে। বাসার ভেতর মালামাল এলোমেলো অবস্থায় দেখা গেছে। পাশে আরও দু’টি বাসার দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। সবগুলো বাসার জানালায় থাই গ্লাস লাগানো। আমাদের ধারণা, রাতে সম্ভবত গ্যাসের চুলার সুইচ বন্ধ করা হয়নি। শীতের কারণে জানালার থাই গ্লাসগুলো সবগুলোই বন্ধ ছিল। গ্যাস জমে গিয়ে এ বিস্ফোরণ হয়েছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে। তবে ঘটনাস্থলে বোমা কিংবা অন্য কোনো বিস্ফোরকের আলামত আমরা পাইনি।’ বাকলিয়া থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, ভবনটিতে গ্যাসের কোনো লাইন ছিল না। সব বাসায় সিলিন্ডার থেকে গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছিল। রাতে সম্ভবত চুলা সচল ছিল। গ্যাস জমে গিয়েছিল। সকালে দিয়াশলাই জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। দুই বোন ওই বাসায় থাকতো, তাদের সঙ্গে আর কেউ থাকতো না।
# ০৩.০২.২০২২ চট্টগ্রাম #