চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচন সংঘাত ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর বর্জন

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কোনো সংঘাত ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। শীত উপেক্ষা করে রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখের পড়ার মতো। পুরুষের পাশাপাশি নারী ভোটাররা প্রয়োগ করেছেন তাদের ভোটাধিকার। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এদিকে ভোট কক্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের প্রভাব বিস্তার, জোর করে এজেন্ট বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা কামরুল ইসলাম হোসাইনী। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাঁশখালী উপজেলা পরিষদের মাঠে সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিতে ভোট বর্জনের কথা ঘোষণা দেন। এ সময় কামরুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, বিভিন্ন ওয়ার্ডে কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখতে পাই, আমার নির্বাচনী এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ইভিএম মেশিন চেপে নৌকার পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে আমার ভোটারদের ভোট দিতে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। আমি বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই এই প্রহসনের নির্বাচন আমি বর্জন করলাম। নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এসএম তোফাইল বিন হোসাইন। যিনি বাঁশখালী আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি বলেন, জনগণ নৌকার প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছেন। ইভিএম ভোটে কখনও কারচুপি করা যায় না। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ অবান্তর। অপরদিকে ‘মোবাইল’ র্মাকা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বিএনপি নেতা ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনি। বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি কেন্দ্রেই ভোটারদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশ নিয়ে তিন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে ভোটাররা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট প্রয়োগ করেন। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট, অস্ত্রসহ ৮জন পুলিশ, ৯জন আনসার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও ম্যাজিষ্ট্রেটসহ দুই প্লাটুন বিজিবি, একব প্লাটুন র‌্যাব দায়িত্ব পালন করছেন। ৯টি ওয়ার্ডের ১১টি ভোট কেন্দ্রে ৮৭টি কক্ষে ২৬ হাজার ৯৮০ জন ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে দুই জন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিরল আসনে ১০ জন, সাধারণ পুরুষ কাউন্সিলর ৪৪ জন প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। চট্টগ্রাম জেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসাইন পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোগগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পর্যাপ্ত পরিমান রয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগেরও সত্যতা পাননি ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এম.রশিদুল হক ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন রুহুল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর জলদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র। ১২০নং পূর্ব জলদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে দুই কাউন্সিলরকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, কেউ যদি ইভিএম মেশিনে ভোট দেয়া নেয়ার চেষ্টা করে তাহলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দুইজনকে এক জায়গায় বসে থাকতে বললেন।
# ১৬.০১.২০২২ চট্টগ্রাম #