চলমান সংবাদ

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর বিদায়

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু রবিবার  কেপটাউনের ওসিস ফ্রেইল কেয়ার সেন্টারে মৃত্যু বরণ করেছেন। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু  শাসনের অবসানে পরিচালিত আন্দোলনের সাথে দৃঢ় ভাবে যুক্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। 

দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা রবিবারএক বিবৃতিতে বলেছেন “ “আর্চবিশপ ইমেরিটাস ডেসমন্ড টুটুর মৃত্যু সে সব অসামান্য দক্ষিণ আফ্রিকানদের একটি প্রজন্মের বিদায়ের অধ্যায় যারা আমাদেরকে একটি স্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা দান করেছেন”। ডেসমন্ড টুটু একজন দেশপ্রেমিক, নীতি ও বাস্তববাদের একজন নেতা যিনি বাইবেলের অন্তর্দৃষ্টির অর্থ দিয়েছেন যে কর্ম ছাড়া বিশ্বাস মৃত।”

আর্চবিশপ টুটু একজন মানবাধিকার প্রচারক হিসেবে কাজের মাধ্যমে পরিচিতি অর্জন করেন। ১৯৮৪ সালে, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার অক্লান্ত ও অহিংস লড়াইয়ের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন ।

১৯৯০ দশকের শেষের দিকে টুটুর প্রোস্টেট ক্যান্সার ধরা পরে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে তার চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জোহানেসবার্গের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ বিশপ এবং পরে কেপটাউনের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ আর্চবিশপ, টুটু শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকায় নয়, সারা বিশ্বে জাতিগত ন্যায়বিচার এবং LGBTQ অধিকারের জন্য একজন সোচ্চার কর্মী ছিলেন।

এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৯০ সালে, ২৭ বছর জেলে থাকার পর, নেলসন ম্যান্ডেলা কেপটাউনে টুটুর বাসভবনে তার প্রথম স্বাধীনতার রাত কাটিয়েছিলেন।

বর্ণবাদী শাসনের পতনের পর এবং ম্যান্ডেলার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে, টুটু ট্রুথ  অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশনের নেতৃত্ব দেন যা সাদা শাসনের ভয়ানক সত্য প্রকাশ করে।

# প্রগতির যাত্রী ডেস্ক