চলমান সংবাদ

চট্টগ্রামে বড়দিন উদযাপিত

বিশ্ব শান্তি কামনা এবং করোনা মহামারী থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষায় সম্মিলিত প্রার্থনার মধ্য দিয়ে ‘বড়দিন’ উদযাপন করেছেন চট্টগ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। প্রার্থনায় দেশ ও দেশের সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্যও ¯্রষ্টার কাছে আবেদন জানানো হয়। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ‘বড়দিন’ উপলক্ষে বন্দর নগরীর গির্জা, বিভিন্ন হোটেল ও এই ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি, প্রতীকী গোয়ালঘর ও আলোকসজ্জায়। এদিকে বড়দিন উপলক্ষে নগরীতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। গির্জাগুলোতে বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। এছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টও বসানো হয়। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও শান্তিপূর্ণভাবে বড়দিন উদযাপন করা হয়। গির্জা কর্তৃপক্ষ করোনায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয় পাথরঘাটার রানি জপমালা গির্জায়। প্রতিবছর ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের চট্টগ্রাম আর্চডাইয়োসিসের প্রধান ধর্মীয় ও কর্মকা-ের প্রধান কেন্দ্র চট্টগ্রামের পাথরঘাটাস্থ আর্চবিশপ ভবনে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাতে দিনভর আর্চবিশপ ভবনে জড়ো হন বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ। সকলে মিলে বড়দিনের কেক কাটেন। এদিকে নগরের বিভিন্ন স্থানে ১৪টি গির্জায় উদযাপিত হয় বড়দিন। নগরের পাথরঘাটার জপমালা রাণী গির্জা, জামালখানের বেথলেহেম এজি চার্চ, ক্যাথলিক চার্চ, পাহাড়তলী ও জুবিলি রোড এলাকার বিভিন্ন গির্জাগুলোতে বানানো হয় খ্রিষ্টের জন্মের ঘটনার প্রতীক গো-শালা। বিভিন্ন চিত্রের মাধ্যমে যীশুর জন্মের সুদীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরা হয়। এসব চিত্রে মেরি, যোসেফ, শিশু যীশু, স্বর্গদূত, মেষপালক এবং বেথেলহেমের সেই সময়কার দৃশ্যপট তুলে ধরা হয়। সবগুলো গির্জাতেই বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের হাতে সান্তা ক্লজ তুলে দেন উপহার সামগ্রী। দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয় খাবার। এদিকে বড়দিন উপলক্ষে বাহারি আলোয় নগরীর বড় বড় হোটেল সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে। বিভিন্ন হোটেলেও স্পেশাল প্যাকেজ অফার দেওয়া হয়। বড়দিন উপলক্ষে পাঁচতারকা হোটেল রেডিসন ব্লু বে-ভিউ বড়দিনের সাজে সাজানো হয়। এছাড়া হোটেল পেনিনসুলাকেও বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। বড়দিন উপলক্ষে নগর ও খ্রিস্টপল্লীতে নিরাপত্তা জোরদার করে র‌্যাব-পুলিশ। নগরের জামালখান, পাথরঘাটা, গণিবেকারি মোড়, বাকলিয়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বসায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি। সিএমপি সূত্র জানায়, বড়দিন উপলক্ষে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা সতর্ক অবস্থানে ছিল। এছাড়া বড়দিনে কোনও প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি গির্জায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়। পোশাক পরিহিত পুলিশের পাশাপাশি দুদিন ধরে মাঠে সাদা পোশাকের পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনও নিয়োজিত ছিল। গির্জার আশপাশে চেকপোস্ট বসানো হয়।

# ২৫.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #