চলমান সংবাদ

বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়েও ছিনতাইয়ে, ২২ মামলার আসামি ইউসুফ অস্ত্র-সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে সুস্থ হওয়ার পরও ফের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন ছিনতাইসহ নানা অপরাধে ২২টি মামলার আসামি মো. ইউসুফ প্রকাশ ইলিয়াছ (৩২)। একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগের পর জামিনে বেরিয়ে নতুন নতুন গ্রুপের সাথে অপরাধ জড়িয়ে পড়তেন ইউসুফ। অস্ত্র ও সহযোগীসহ সেই ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছে বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বায়েজিদ থানাধীন শেরশাহ মিটার মোড় এলাকায় ছিনতাইকালে একটি সিএনজি অটোরিকশাসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তার ইউসুফ একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। ২০০৫ সাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরে ছিনতাই করে থাকে। ২০১৪ সালের আগে হামকা নুর আলম গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিল সে। হামকা গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য ২০১২-২০১৪ সালে গ্রেপ্তার হয়। ইউসুফ জেলখানায় টানা পার্টির সদস্যদের সাথে যুক্ত হয়। ২০১৪ সালের পর জেল থেকে বেরিয়ে টানা পার্টির সদস্যদের নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীতে রিকশার যাত্রী ও পথচারীদের কৌশলে ব্যাগ টেনে ছিনতাই শুরু করে ইউসুফ।’ ওসি কামরুজ্জামান আরও বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে জাকির হোসেন রোডে এশিয়ান ওমেন্স ইউনির্ভাসিটির শিক্ষক বৃটিশ নাগরিক জুলিয়া ডেভিসের ব্যাগ ছিনতাই করে ইউসুফ। ঘটনার পর একইদিন পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হয় সে। জেল থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর পুনরায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িয়ে পড়ে। প্রতিবার জেলখানা থেকে বের হওয়ার পর নতুন সদস্যদের নিয়ে ছিনতাই কাজ করে থাকে।’ ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বায়েজিদ থানাধীন স্টারশীপের সামনে অস্ত্র ও সিএনজি অটোরিকশাসহ ইউসুফ গ্রেপ্তার হয়। জেলখানা থেকে বের হয়ে পুনরায় নতুন সদস্য সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম মহানগরীতে ছিনতাই শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে বায়োজিদের বিআরএসএম মোড়ে এক ব্যক্তির ব্যাগ টান দিয়ে একটি সিএনজি চড়ে পালিয়ে যাচ্ছিলো ছিনতাইকারীরা। চিৎকার শুনে ঘটস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করে মিটার মোড় থেকে তাদের আটক করে। পরে তাদের গাড়ি তল্লাশি করে দু’টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশা দ্রুত চালানোর জন্য গ্যাসের পরিবর্তে পেট্রোলে চালায়। পুলিশ বা অন্য কেউ তাদেরকে ধাওয়া করলে সেজন্য তারা গ্যাসের পরিবর্তে পেট্রোলে সিএনজি চালায়। বিশেষ করে সকাল ও রাত ৮টার পর রাস্তাঘাটে যানবাহন চলাচল কম হলে তারা ছিনতাই শুরু করে। ছিনতাই করার সময় তাদের লক্ষ্য থাকে রিকশার যাত্রী ও রাস্তায় থাকা ব্যাগসহ মহিলাদের প্রতি। ইউসুফের বাড়ি বোয়ালখালীর পূর্ব চরণদ্বীপ হলেও, সে বসবাস করে চান্দগাঁও থানার কামাল বাজার এলাকার ইয়াকুব কলোনিতে। গ্রেপ্তার ইউসুফের সহযোগী সুমন মিয়া (২৭)র বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এলাকায়, সে থাকে কর্ণফুলী থানার মইজ্জারটেক এলাকার ভাড়া বাসায়। এর মধ্যে ইউসুফের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় অন্তত ২২টি মামলা আছে।
# ২৪.১২.২০২১ চট্টগ্রাম #