চলমান সংবাদ

গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার দাবিতে চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গণপরিবহনে অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে নগরীর ওয়াসার মোড়ে সড়কের একপাশে অবস্থান নেন কয়েক’শ শিক্ষার্থী। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে তারা বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা সড়কের মাঝে অবস্থান নিতে চাইলে পুলিশের বাধা দেয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়ক ও অর্ধেক ভাড়ার দাবিতে স্লোগান দেন। এর আগে গত কয়েকদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই দাবিতে আন্দোলন করে। দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন দুদিন স্থডসু করা হয়। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত বা ঘোষণা না আসায় ফের আন্দোলনে নামে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরের ওয়াসার মোড়ে জড়ো হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের বিভিন্ন দাবির প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আমরা যারা পড়ালেখা করি তাদের কোনও নিজস্ব আয় নেই। সবাই পরিবারের ওপর নির্ভরশীল। এছাড়া এমন নয় যে, পরিবারে শুধু আমরাই পড়ালেখা করি। আমাদের ভাই-বোনরাও পড়ালেখা করছে। যারা গণপরিবহন ব্যবহার করে তারা অনেকেই মধ্যবিত্ত-নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। সুতরাং শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে গণপরিবহনে ভাড়া অর্ধেক করার দাবি জানাচ্ছি। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র উপ-কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক বলেন, নিরাপদ সড়ক ও বিভিন্ন দাবিতে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলন করছিল। শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের বুঝিয়ে একপাশে সরিয়ে দিয়েছি। তাদের যে দাবি, সেটা নিয়ে ঢাকায় আলাপ-আলোচনা চলছে। নিশ্চয় একটি ভালো সিদ্ধান্ত আসবে, শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করায় তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। কর্মসূচিতে উত্থাপিত নয় দফা দাবিসমূহ হচ্ছে- দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শিক্ষার্থীসহ সকল সড়ক হত্যার বিচার করতে হবে এবং পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশের গণপরিবহনে (সড়ক, নৌ, রেল) শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া নিশ্চিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। গণপরিবহনে নারী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জনসাধারণের চলাচলের জন্য ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুততম সময়ে নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সকল যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পিত বাস স্টপেজ ও পার্কিং নির্মাণের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। দ্রুত বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের দায়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহলকে নিতে হবে। বৈধ ও অবৈধ যানবাহন চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈধতার আওতায় আনতে হবে এবং বিআরটিএর সকল কর্মকান্ডের উপর নজরদারি রাখতে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মানে ঢাকাসহ সারাদেশের ট্রাফিক ব্যবস্থা অবিলম্বে স্বয়ংক্রিয়, আধুনিকায়ন ও পরিকল্পিত নগরায়ন নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাফিক আইনের প্রতি জনসচেতনতা নিশ্চিত করতে একে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতে হবে।
# ২৯.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #