চলমান সংবাদ

মন্দিরে হামলার আসামির চট্টগ্রাম কারাগারে মৃত্যু

হাটহাজারীতে মন্দিরে হামলার মামলার আসামি স্থানীয় এক বিএনপি নেতা চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে ফকির আহাম্মদ (৬২) নামের ওই হাজতি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ফকির আহাম্মদ চট্টগ্রামের মিরসরাই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক। গত ১৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর থেকে তিনি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। চট্টগ্রাম কারাগারের জেলার দেওয়ান তারিকুল ইসলাম বলেন, “সকাল ৮টা ২০ মিনিটের দিকে নাশতা করার কিছু পরই ফকির আহাম্মদ বুকে ব্যথা অনুভব করতে থাকেন। তিনি মেঘনা-৩ ওয়ার্ডে থাকতেন। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। চমেক হাসপাতালে ফকির আহাম্মদের ময়নাতদন্ত হয়েছে। জেলার তারিকুল বলেন, “কারাগারে আসার পর প্রথম ১৪ দিন তিনি কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। উনার হৃদরোগ বা এরকম কোনো অুসস্থতার কথা জানিয়েছিলেন কিনা তা রেকর্ড দেখে বলতে হবে।” কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনার পর গত ১৩ অক্টোবর হাটহাজারী উপজেলার সরকারহাট এলাকায় সোমপাড়া সার্বজনীন পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন হাটহাজারী থানার এসআই আবিদুর রহমান বাদী হয়ে ৬১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। এ মামলায় গত ১৮ অক্টোবর ফকির আহম্মদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফকির আহাম্মদের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি নেতারা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিবৃতিতে। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম, নগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান ও সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, “বর্তমান নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকারের আমলে কারাবন্দী বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রতি অমানবিক আচরণ এবং চিকিৎসায় চরম অবহেলার কারণে জেলখানায় অহরহ মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এরই ধারাবাহিকতার শিকার হয়েছেন ফকির আহাম্মদ।
# ১৬.১১.২০২১ চট্টগ্রাম #