রোহিঙ্গারা যাতে জন্মনিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত না হয় সর্তক থাকার আহবান চসিক মেয়রের
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা শরনার্থীরা যাতে জন্মনিবন্ধনে অন্তর্ভুক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ার কারণে তারা বিভিন্ন মাধ্যমে দেশে অবৈধভাবে নাগরিকত্ব গ্রহনের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে তাদেরকে শরনার্থী হিসেবে আশ্রয় দিয়েছেন। কাজেই জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে যাতে কোন রোহিঙ্গা অন্তর্ভুক্তি না হয়, সে বিষয়ে জন্মনিবন্ধনকারীদের বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করে কাজ করতে হবে। বুধবার দুপুরে নগরীর টাইগারপাসস্থ কর্পোরেশনের অস্থায়ী ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস ২০২১’র আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছ। জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কেন প্রয়োজন এর উপর একটি সচিত্র প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. তপন চক্রবর্ত্তী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সহকারী রবিউল আলম ও বিকাশ কান্তি মল্লিক। সভায় বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে জন্ম নিবন্ধনে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৯৩৫জন পুরুষ, ৭ লাখ ৬৯ হাজার ৯৪৭জন মহিলা ও অন্যান্য ৩ জনসহ সর্বমোট ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ৮৫৫জন অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছেন বলে জানানো হয়। এছাড়া মৃত্যু নিবন্ধনে ২ হাজার ১৩৪জন পুরুষ, ৭৯১জন মহিলাসহ সর্বমোট ২ হাজার ৯২৫জন অনলাইনে নিবন্ধিত হয়েছেন বলে জানা যায়। সভায় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ভোগান্তি ও ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন সম্পন্ন করতে ইপিআই কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন জন্ম নিবন্ধনকারীরা। তারা বলেন, নবজাত শিশুরা ওয়ার্ডের টিকা কেন্দ্রে টিকা নিতে আসেন, সেক্ষেত্রে ইপিআই কর্মীরা শিশুর অভিভাবকদের জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব সম্পর্কে অবহিত করেন তা সম্পন্ন করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।
# ০৬.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #