চলমান সংবাদ

এবার চট্টগ্রামেও ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্তে পিবিআই

অগ্রিম টাকার পুরোটা পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জ। প্রতিশ্রুত সময়ে পণ্য না পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাত জনের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামের আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালতে এই মামলা হয়। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। নুরুল আবছার পারভেজ নামে চট্টগ্রামের রেয়াজউদ্দিন বাজারের এক ব্যবসায়ী এ মামলা করেন। তিনিসহ প্রতারিত অপর ব্যবসায়ী ও ই-অরেঞ্জের গ্রাহক মোর্শেদ সিকদার এবং মাহমুদুল হাসান খানের পক্ষে প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে তিনি এ মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৭ মে’র পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহকরা। নির্দিষ্ট সময়ের পরও এমনকি এখন পর্যন্ত গ্রাহককে কোনও পণ্য সরবরাহ করেনি। অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়, কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের নুরুল আবছার পারভেজ, মোর্শেদ সিকদার ও মাহমুদুল হাসান খান নামের তিনজন ব্যবসায়ীর প্রায় সাড়ে ১১ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। প্রসঙ্গত একই অভিযাগে এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত ও কুমিল্লার আদালতে সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, ই-অরেঞ্জ সারাদেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও কয়েকদিন আগে প্রতারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন এবং প্রতারিতদের অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আশা করি, আমরা ন্যায়বিচার পাবো। তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়েছেন এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
# ০৬.১০.২০২১ চট্টগ্রাম #