চলমান সংবাদ

নাগরিক সমাজের সমাবেশে বক্তারা সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্পের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন

প্রাণ-প্রকৃতিতে ভরপুর চট্টগ্রামের ফুসফুস হিসেবে পরিচিত সিআরবি এলাকায় হাসপাতাল প্রকল্পের বিষয়ে রেলমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করে নাগরিক সমাজ চট্টগ্রামের নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার দাবি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সরাকরি বিভিন্ন সেবা সংস্থা এবং রেলওয়েকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। চট্টগ্রামের মানুষ সিআরবিতে হাসপাতাল চায় না। চিঠি দেয়ার বিষয়টি জানানোর পরও তা বেমালুম ভুলে গিয়ে রেলমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিআরবি রক্ষায় আন্দোলনকারী সংগঠন নাগরিক সমাজ আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে চট্টগ্রামবাসীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প বাতিলের দাবি জানানো হয়। সমাবেশে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগরে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল না করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আমরা চিঠি দিয়েছি। চট্টগ্রামের সকল সেবা সংস্থার সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। রেলকে আমরা লিখিতভাবে এসব বিষয়ে অভিহিত করেছি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এখন রেলমন্ত্রী বেমালুম তা ভুলে গেছেন নয়ত মিথ্যাচার করছেন। সমাবেশে বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ সিআরবিতে হাসপাতাল চায় না। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রামের আপামর জনসাধারণ জানিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের ফুসফুস সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প চট্টগ্রামবাসী চায় না। আশাকরি তিনি বিষয়টি বুঝতে পারবেন এবং অবিলম্বে সিআরবির প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করে প্রস্তাবিত হাসপাতাল প্রকল্প বাতিল করবেন। সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রণব চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আবৃত্তিকার রাশেদ হাসান, ন্যাপ নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ঋত্তিক নয়ন, সাবেক ছাত্রনেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, মাঈনুদ্দিন কোহেল, মনোজিত দাশ বর্মন, সুজিত চক্রবর্তী, মাসুদ হাসান উজ্জ্বল, বিপ্লব কুমার শীল,অ্যাডভোকেট অনির্বাণ দত্ত, অ্যাডভোকেট জায়দিদ, তাপস দেব,নারায়ন দাশ, সাজ্জাদ হোসেন জাফর প্রমুখ। উল্লেখ্য গত শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে রেলমন্ত্রী সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মানুষ যদি কোনো স্থাপনা না চান, সেটা আমাদের জোর করে চাপিয়ে দেয়ার তো কোনো প্রয়োজন নেই। যে কথাগুলো বলে অভিযোগ দিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, সেটার ভিত্তি কতটুকু। এ আন্দোলন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি, সত্যিই চট্টগ্রামের মানুষের স্বার্থে করা হচ্ছে। সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। কয়েকদিন পূর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আন্দোলন তার পূর্বেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কী নিয়ে আন্দোলন, তা আনুষ্ঠানিকভাবে রেলের মন্ত্রীর বরাবরে, রেলের কারো কাছে বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছেও কোনো দরখাস্ত করা হয়নি।

# ২৫.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #