চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগ প্রত্যাশা চেম্বারের
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য এ্যাফায়ার্স হিদায়াত আতজেহ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের পরিচালকমন্ডলীর সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠি হয়। এসময় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুুবুল আলম বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ঐতিহাসিক ভ্রাতৃপ্রতীম চমৎকার সম্পর্কের প্রসংগ উল্লেখ করে বলেন, অমিত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও উভয় দেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগ কাংখিত লক্ষ্যে পৌঁছেনি। তিনি পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে মেলবন্ধন তথা বেসরকারি খাতের উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন। চেম্বার সভাপতি বাণিজ্য সম্প্রসারণে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে চট্টগ্রাম-ঢাকা-জার্কাতা অথবা ঢাকা-চট্টগ্রাম-জার্কাতা সরাসরি ফ্লাইট চালু করতে দূতাবাসের ব্যক্তিগত উদ্যোগ কামনা করেন। তিনি বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশেষ করে চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইন্দোনেশিয়ান যৌথ বা একক বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন। ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য এ্যাফায়ার্স হিদায়াত আইজাহ বরেন, করোনাকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতি ও মহামারী মোকাবেলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উদ্যোগে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরিই প্রমাণ করে বাংলাদেশ এঅঞ্চলের শীঘ্রই অর্থনীতির সুপার পাওয়ার হতে যাচ্ছে। তিনি করোনা মোকাবেলায় ইন্দোনেশিয়ার সরকারকে ঔষধ ও চিকিৎসা সামগ্রী প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে উভয় দেশ ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে এক সাথে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে পারস্পরিক সম্ভাবনাগুলো উন্মোচন করা এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া দ্রুত প্রেফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) স্বাক্ষর করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালকবৃন্দ মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), মো. সিরাজুল ইসলাম, অঞ্জন শেখর দাশ, ফৌজুল আলেফ খান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সাপ্তা এন. ধনঞ্জয় উপস্থিত ছিলেন। চেম্বার সিনিয়র সহ-সভাপতি তরফদার মোঃ রুহুল আমিন বলেন- উচ্চ শুল্ক আরোপের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি পণ্য বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। তিনি উভয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি নিরসনে ইন্দোনেশিয়ার কর কাঠামো পরিবর্তনের আহবান জানান। দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি সাপ্তা এন. ধনঞ্জয় পিটিএ চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে শুল্ক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান ও বাণিজ্য ঘাটতি নিরসন হবে বলে মন্তব্য করেন।
# ০৫.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #