চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দিয়ে নিয়োগের নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১

নিজেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দিয়ে নিয়োগের নামে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাত করে আসছিলেন সেকান্দর আলী (৫৫)। এভাবে চাকরি দেয়ার নাম করে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এই ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভীবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেকান্দর পুলিশকে জানায়, তিনি নিজেকে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জেলার চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর বন্দরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিতেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে ২৫ ডিসেম্বর জনৈক আবুল কাশেমের ছেলেকে বন্দরে চাকরি দেয়ার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে সেকান্দার। ছেলের উন্নত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে রাজি হন আবুল কাশেম। প্রতারক সেকান্দার নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে দুই কিস্তিতে টাকা পরিশোধের কথা বলেন। পরে আবুল কাশেম প্রথম দফায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা সেকান্দার আলীর হাতে তুলে দেন। জামানত হিসেবে তাকে একটি খালি চেক দেন সেকান্দর। এরপর ২০২০ মালের মার্চ মাসে ছেলে চাকরিতে যোগদান করতে পারবে জানিয়ে অবশিষ্ট টাকা দ্রুত দিতে বলেন সেকান্দরকে। তার কথায় বিশ্বাস করে ২৫ ফেব্রুয়ারি বাকি ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেন আবুল কাশেম। কিন্তু মার্চ মাস পেরিয়ে গেলেও ছেলের চাকরি কোনো খবর না পাওয়ায় সেকান্দরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পান। এরপর ছেলে চাকরিতে যোগদান করতে গেলে দেখেন তার নিয়োগ হয়নি, পুরো বিষয়টি ভুয়া। আবুল কাশেম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেকান্দর একই কায়দায় পূর্ব পরিচিত আরও তিনজনের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এদের কারো চাকরি হয়নি। শেষে ভুক্তভোগী আবুল কাশেম থানায় মামলা করলে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেপ্তার হন প্রতারক সেকান্দর আলী। কোতোয়ালী থানার ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, সেকান্দর আলী একজন পেশাদার প্রতারক। তার আয়ের একমাত্র উৎস মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা। বিভিন্ন চাকরিপ্রার্থীদের সরলতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ওসি আরও বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের বন্দরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন কৌশলে প্রথমে অগ্রিম টাকা নেন সেকান্দর। পরে ভুয়া নিয়োগপত্র ছাপিয়ে প্রার্থীদের বাসায় এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কাগজপত্র ডাকযোগে থানায় পাঠায়। থানা থেকে পুলিশ চাকরি প্রার্থীদের বাড়িতে গেলে ওই প্রতারক চাকরি হয়ে গেছে বলে চুক্তি অনুযায়ী সব টাকা নিয়ে নেন। এরপর যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এভাবে তিনি একাধিক প্রতারণা করেছেন।

# ০২.০৯.২০২১ চট্টগ্রাম #