প্রতিটি কৃষক কবি – লীলাবতী
এখানে উরুর মতোন মসৃণ নদী,
ঝাঁকে ঝাঁকে মাছেরা দিনাতিপাত করে নিশ্চিন্তে,
দুএকটা মাছরাঙা এদের যন্ত্রনা বাড়ায় কদাচিৎ।
এখানে তরুন কালাগাছ মেলে দেয় সবুজ রঙ,
পিঁপড়েদের অবসর কম,পাখিরা ওমে ব্যস্ত।
অভ্যুত্থানের পথ পেয়ে এখানে শিশুরা তুস্ট,
অনুগ্রহ ভরে জপ করে তারা পিতামাতার নিগ্রহ।
তথাপি এখানে রাত্রি নামে,
পানকৌড়ির পালকের ন্যায় আসে অন্ধকার।
কারুনিক চোখে নারীরা তখন এলিয়ে দেয় দেহ,
ঘর্মাক্ত দেহের টক গন্ধে বন্ধ হয়ে যায় নিশ্বাস,
ধুলো পায়ে পুরুষ চৌকি খোঁজে,
এখানে আওয়াজ হয়না আহ্লাদের।
নিত্যদিনের মতো কেবলই পুরুষ বিস্তার করে পেশীশক্তি,
ধুলোয় ঘামে একাকার হয় রাত্রি।
তবুও এখানে প্রতিটি কৃষক প্রেমিক,
প্রটিতি কৃষক কবি,
সংকীর্ণ রাস্তা কেটে,
এরা তৈরি করে ক্ষেত,
সাজায় কাকতাড়ুয়া,
এখানে এরা বছরব্যাপী আবাদ করে বিষাদ,
জল ছিটায়,লাংগল চষে,
কুঁড়ি নিয়ে আসে বেদনার,
এখানে আদিগন্ত দেখা যায় কেবল ফুলেদের,
নীল নীল দুঃখ ফুল,
প্রমিকার শাড়িতে ফোটা ব্যথিত ফুল।।
লেখাঃলীলাবতী
প্রতিটি কৃষক কবি