চলমান সংবাদ

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার সঠিক সিদ্ধান্ত

জো বাইডেন

হোয়াইট হাউজে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন জো বাইডেন।

আফগানিস্তান থেকে আমেরিকার সৈন্য প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগামী ৩১শে অগাস্ট দেশটিতে আমেরিকার সৈন্যদের কাজ শেষ হবে।

মি. বাইডেন হচ্ছেন আমেরিকার চতুর্থ প্রেসিডেন্ট যিনি আফগান যুদ্ধে আমেরিকার কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন।আর যে গতিতে সৈন্য প্রত্যাহার করা হচ্ছে, সেটিকেও সমর্থন করেছেন মি. বাইডেন।

তালেবান জঙ্গিরা যখন আফগানিস্তানে একটির পর একটি এলাকা দখল করে নিচ্ছে, তখন মি. বাইডেনের এই বক্তব্য আসলো।

২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আমেরিকার নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার পর গত ২০ বছর যাবত আমেরিকার সৈন্যরা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছে।

চলতি বছরের শুরুতে মি. বাইডেন সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলেন যে ২০১২১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন সৈন্যদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

এর আগে ডোনাল্ড প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তালেবানের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন যে ২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হবে।

কিন্তু মি. বাইডেন জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর সে সময়সীমা পিছিয়ে দেন।

হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে মি. বাইডেন বলেন, ” আফগানিস্তানে আর এক বছর বেশি যুদ্ধ করে কোন সমাধান আসবে না।”

বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন অনেকে

সরকারি বাহিনীর সাথে তালেবানের সংঘর্ষের ফলে অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন।

তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নিতে পারবে না বলে মনে করেন মি. বাইডেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের তিন লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের কাছে তালেবানের ৭৫ হাজার সদস্য কিছু করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পরেও দেশটিতে মার্কিন দূতাবাস. কাবুল বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য ৬৫০ থেকে এক হাজার মার্কিন সৈন্য রাখা হবে।

আমেরিকায় সাম্প্রতিক জনমতে জরিপে দেখা গেছে বেশিরভাগ মানুষ আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পক্ষে। তবে রিপাবলিকান সমর্থকরা সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কিছু সন্দিহান।

মি. বাইডেন বলেন, মার্কিন বাহিনীর সাথে যেসব আফগান বাসিন্দা অনুবাদক এবং অন্যান্য ভূমিকায় কাজ করেছে, তাদের আমেরিকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বিশেষ অভিবাসী ভিসা ইস্যু করা হয়েছে উল্লেখ করে মি. বাইডেন বলেন, এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যা আসতে পেরেছে।

গত মাসে হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মি. বাইডেন আফগান নেতাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে দেশটিতে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি মনে করেন, জঙ্গিদের মোকাবেলা করার জন্য সরকারি বাহিনীর সক্ষমতা আছে। যদিও তালিবানের অব্যাহত হামলায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য প্রতিবেশী দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর বেরিয়েছে।

সূত্রঃ বিবিস বাংলা, ৯ জুলাই ২০২১