চলমান সংবাদ

চট্টগ্রাম রেকর্ড শনাক্ত চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের হার প্রতিদিন রেকর্ড ভাঙছে

 দিন যতই এগিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাটে যানবাহন,মানুষের আনাগোনা, অলিগলির আড্ডাবাজি বাড়তে শুরু করেছে। ফলে লকডাউনের প্রতি অনীহার মূল্যও দিতে হচ্ছে জনসাধারণকে। গত ৫ জুলাই চট্টগ্রাম জেলায় রেকর্ড সংখ্যক ৫৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছিল। ৬ জুলাই গত ২৪ ঘন্টার ফলাফলে ১৮৯০ জনের মধ্যে ৬৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামে এই পর্যন্ত শনাক্ত কোভিড রোগীর মোট সংখ্যা মোট ৬১ হাজার ৫৮৯ জন বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। গত দুই বছরে মধ্যে সংক্রমণের এই হার সর্বোচ্চ। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর বলেন, করোনা সংক্রমণ শুরুর সময় থেকে গত এক বছর সময়ে চট্টগ্রামের স্বাস্থ্যখাতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় কোভিড ডেডিকেটেড ইউনিট চালুর পাশাপাশি নন কোভিড শয্যাও চালু করা হয়েছে।অক্সিজেন সেবা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জেনারেল হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে আইসিইউ বেড সেবা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেবার মান আগের থেকে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। কিন্তু কোভিডের হারও আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। স্বাস্থ্যসেবায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও হাঁপিয়ে উঠছে, সেই হিসবে আমরা তুলনামুলক বেটার পজিশনে আছি। কিন্তু সবকিছুর মূলে থাক্তে হবে সমন্বিত প্রয়াস। আমাদের সবাইকে সমন্বিতভাবে করোনার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তা নাহলে সরকারের একার পক্ষে এই যুদ্ধ জয় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনার কথা বলা হলেও কার্যত তার সফলতা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। শহর, বন্দর, গ্রাম বা প্রান্তিক জনজীবনে ঢিলেঢালা ভাবেই চলছে লকাডাউন বাস্তবায়ন। নগরের প্রবেশ পথে চেকপোস্ট অথচ নানা কৌশলে চলছে যাতায়াত। মোড়ে মোড়ে দায়িত্বে রয়েছেন আইনশৃংখলা বাহিনী অথচ দুই/তিন জন নিয়েও চলছে মোটরসাইকেল, রিক্সা। ব্যক্তিগত গাড়ির দৌরাত্ম্য বাড়ছে। লকডাউনের এমন ঢিলেঢালা ভাবের পেছনে দায়িত্ব পালনকারী সংস্থারও ঢিলেঢালা দায়িত্ব পালন নিয়েও কথা উঠছে। এমন অবস্থায় লকডাউনের কঠোরতা বাস্তবায়ন নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আরেক দফা সংবাদ সম্মেলন করেছে। অন্যান্য বারের মতো এবারও রীতিমত কঠোরতার কথা বলা হলেও আসলে কতটুকু বাস্তবায়িত হতে পারে প্রশাসনের এই ঘোষণা তা দেখার অপেক্ষার রইল সচেতন মহল। সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, ৫ জুলাই থেকে ব্যাংক , আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় মিথ্যা অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে। মানুষ জড়ো হওয়ার কারণে করোনার সংক্রমণ দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেই জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেনাবাহিনী তাদের মতো করে টহলে থাকবে।

# ০৬.০৭.২০২১/চট্টগ্রাম#