চলমান সংবাদ

১২ বছরের শিশুকে পালাক্রমে ধর্ষন, গ্রেপ্তার তিন যুবকের আদালতে স্বীকারোক্তি

পোশাক কারখানায় চাকরি করেন মা। মা কাজে গেলে বাসায় একা থাকত ১২ বছরের মেয়ে। সেই সুযোগে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে বাসা থেকে বের করে পাহাড়ে নিয়ে তিনজন মিলে গণধর্ষণ করে। ঘটনাটি চট্টগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদের তুলাতলি এলাকার। শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩ জুলাই) গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ-সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনার পরে ভিকটিমের মা তিনজনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেছিল। পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন- আলাউদ্দীন (১৯), শাকিল আহম্মেদ (২১) ও শফিকুল ইসলাম (২১)। তিনি বলেন, ‘শিশুটি পরিবারের সঙ্গে খুলশী থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় বসবাস করত। তার মা পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মা কাজে গেলে মেয়েটি বাসায় একা থাকত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তুলাতলি এলাকায় একা পেয়ে ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে বাসার বাইরে নিয়ে যায় আলাউদ্দিন। পরে তুলাতলি আবু হুরাইয়া মাদ্রাসার উত্তর পাশে পাহাড়ের ওপর খালি জায়াগায় নিয়ে আলাউদ্দিন আরও দুই বন্ধুকে ডেকে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। তাদের মধ্যে এক নম্বর আসামি আলাউদ্দীনের সাথে ওই স্কুল ছাত্রীর পূর্ব পরিচয় ছিল। খুলশী থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুজ্জামান বলেন, নির্যাতনের বিষয়টি এলাকাবাসী জানার পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেয়। পরে পুলিশ মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তার মা রাত দশটার দিকে গার্মেন্টস থেকে বাসায় এসে বিষয়টি জানতে পেরে থানায় যোগাযোগ করে। তার আগেই পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়। বর্তমানে শিশুটি চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে। গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন খুলশী থানায় দায়ের হওয়া মাদক মামলার আসামি। # ০৩.০৭.২০২১ চট্টগ্রাম #