চলমান সংবাদ

৪৮ ঘন্টায়ও মেয়রের বাড়ির সামনে থেকে পানি নামেনি

জলাবদ্ধতার জন্য প্লাস্টিক বর্জ্য, সমন্বয়হীনতাকে দুষলেন মেয়র রেজাউল করিম কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার কবল থেকে রেহাই পাননি স্বয়ং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বাড়িও। তার বাড়িতেও জলাবদ্ধতার গ্রাস পড়েছে। এমনকি গত দুইদিনেও তার বাড়ির সামনে থেকে জমে থাকা পানি নামেনি। জলাবদ্ধতার এমন পরিস্থিতির জন্য নাগরিক অসচেতনতা , সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থার সমন্বয়হীনতাকে আর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের চলমান কাজ দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। শুক্রবার ২জুলাই বিকালে বহদ্দারহাটস্থ নিজ বাসভবনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় কালে তিনি নিজ বাড়ির সামনে জমে থাকা পানি দেখিয়ে আক্ষেপ করে বলেন, কোথাও কোথাও ১২ থেকে ১৮ঘন্টা, এমন কি চব্বিশ আটচল্লিশ ঘন্টায়ও পানি সরে যেতে পারেনি। সেখানে নাগরিক দুর্ভোগ চরম মাত্রাকেও ছাড়িয়েছে। চসিকের নিয়মিত পরিষ্কার অভিযানে দেখা যায় আবর্জনার এক তৃতীয়াংশই থাকে পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় পণ্যের বর্জ্য। এসব বর্জ্য অসচেতনভাবে খাল নালায় নিক্ষেপ করছে মানুষ। ফলে জলাবদ্ধতা নিরসনে ও পানি নিষ্কাশনে অন্তরায় হয়ে আছে পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য। শহরকে জলাবদ্ধতামুক্ত রাখা, পরিবেশ রক্ষা ও কর্ণফুলী নদীর প্রবহমানতা ফিরিয়ে আনতে ড্রেজিং কাজে বড় বাঁধা এসব প্লাস্টিক বর্জ্য ও পলিথিন। তিনি বলেন, উন্নয়ন কাজে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের কাজে সমম্বয় সাধন অবশ্যই প্রয়োজন। সমম্বয়ের অভাবে জনগণের অর্থ ও সময়ের অপচয় হয়, নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে। ফলে সরকারী সেবা সংস্থার উপর মানুষের আস্থার সংকট ও বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হচ্ছে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গৃহিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু এই কাজ এখনো শেষ হয়নি। এই প্রকল্প কাজের জন্য খাল ও নালা গুলোর প্রায় প্রত্যেকটিতে বাঁধ দেয়া রয়েছে। খাল ও নদীর সংযোগ স্থলে বাঁধ দিয়ে স্লুইচ গেইট ও টাইডাল ওয়াটার রেগুলেটর সিস্টেম নির্মানের কাজ এখনো শেষ হয়নি। তিনি বলেন, সিডিএকে অনুরোধ করেছিলাম বর্ষা মৌসুমের জন্য অস্থায়ীভাবে খাল-নালায় দেয়া বাঁধগুলো অপসারন করতে এবং খালের মুখের পথ স¤প্রসারিত করতে। যে কোন কারণেই হোক এটি করা হয়নি বা করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। ফলে মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিতেই নগরীর অধিকাংশ এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। তাছাড়া বৃষ্টির পানিতে চলমান উন্নয়ন কাজের জন্য সামগ্রী, বর্জ্য ও আবর্জনা খাল নালায় পড়ে ভরাট হয়ে যায়। আমি কয়েক ঘন্টা সময়ের মধ্যেই জরুরী ভিত্তিতে তা অপসারন করে এবং কিছু কিছু বাঁধ কেটে দিয়ে পানি চলাচলের রাস্তা করে দিই। # ০২.০৭.২০২১/চট্টগ্রাম#