চলমান সংবাদ

শ্রমিক অসন্তোষ,এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়ন বেদনা, বৃষ্টি বিড়ম্বনা নগরে দিনভর যাতায়াত ভোগান্তি

চট্টগ্রামে লকডাউন চলাকালে কর্মস্থলে যেতে গাড়ি না পাওয়ায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিক অসন্তোষ, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়ন বেদনা এবং বৃষ্টি বিড়ম্বনায় পড়ে নগর জুড়ে গতকাল দিনভর যাতায়াত ভোগান্তি বিরাজ করেছে। এতে নগরের লাখো কর্মজীবী মানুষকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হয়েছে। পরিবহন বন্ধ রেখে লকডাউনে অফিস-কারখানা খোলা রাখায় ৩০ জুন সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত টাইগার পাস এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ কর্মজীবীরা। সকালে কর্মস্থলগামী লোকজন টাইগার পাস মোড়ে গাড়ির জন্য অপে¶ায় ছিলেন। একদিকে পরিবহন বন্ধ,তারউপর আবার বৃষ্টি বিড়ম্বনা। অন্যদিকে ঠিক সময়ে কর্মস্থলে হাজির হতে না পারলে লেট কামিংয়ের শাস্তি , নিজ খরচে দ্বিগুন ভাড়ায় অফিস যাওয়ার যন্ত্রণা তার উপর আবার বৃষ্টি বিড়ম্বনা- চতুর্মুখী চাপে পড়ে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ শ্রমিক কর্মজীবী একপর্যায়ে সড়ক অবরোধ করে বসে। এসময় তারা ব্যক্তিগত গাড়ি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যানবাহন চলাচলে বাধা দিতে শুরু করে তারা। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে সড়ক ফাঁকা ছিল। টাইগার পাস মোড়ে গাড়ির জন্য অপে¶ায় থাকা বিভিন্ন কারখানায় কর্মীরা হঠাৎ বি¶োভ শুরু করে। আমরা শ্রমিকদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে উঠিয়ে নিয়েছি। বিজিএমই কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে শ্রমিকদের যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থার প্রতিশ্রæতি আদায় করা হয়েছে। এই ব্যাপারে বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশনের (বিজিএমই) সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন কারখানায় কর্তৃপক্ষ পরিবহনের ব্যবস্থা করেছেন। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয়নি। সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, আইনশৃক্সখলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সমšি^ত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এদিকে, শ্রমিক অসন্তোষে সড়ক অবরোধ,এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উন্নয়ন বেদনা এবং বৃষ্টি বিড়ম্বনায় পড়ে গতকাল সকাল থেকেই নগরীর বেকবোন রোড বহদ্দার হাট-ইপিজেড সড়কটিতে যানজট লেগেই ছিল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের চলমান নির্মাণ কাজের কারণে আগ্রাবাদ থেকে কাস্টমস মোড় পর্যন্ত ¯^াভাবিক সময়েও যানজট লেগে থাকে। এই যানজটে নতুন মাত্রা যোগ করেছে গতকালকের শ্রমিক অসন্তোষে সৃষ্ট যানজট। এই যানজট বেকবোন রোড ছাড়িয়ে নগরীর সংশ্লিষ্ট সকল সড়কেও প্রভাব বিস্তার করেছে। এমন অবস্থায় রিক্সা,ব্যক্তিগত পরিবহনগুলোকে প্রধান সড়ক ছেড়ে অলিগলির রাস্তা ব্যবহার করতে দেখা গেছে। গোলাম হায়দার বলেন, দুইনম্বর গেইট থেকে আমি সকাল ১০টায় আগ্রাবাদের উদ্দেশ্যে রিক্সায় রওনা দিয়েছি। মেইন রোডে যানজটের কারণে প্রবর্তক মোড়-চকবাজার-কোতোয়ালি হয়ে মাদারবাড়ি দিয়ে আমাকে আগ্রাবাদ আসতে হয়েছে। # ৩০.০৬.২০২১/চট্টগ্রাম#