চলমান সংবাদ

আলোকিত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ‘প্রগতির যাত্রী’র সাধারণ সভা ও প্রথম কমিটি ঘোষণা

“কুসংস্কার ও কূপমণ্ডূকতা মুক্ত আলোকিত পথের যাত্রী”—এই আদর্শকে সামনে রেখে গঠিত সামাজিক সংগঠন ‘প্রগতির যাত্রী’-র সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হলো এক উষ্ণ, প্রেরণাদায়ী পরিবেশে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর এক স্থানীয় হোটেলে আয়োজিত এই সভায় সংগঠনের ভবিষ্যৎ পথরেখা নির্ধারণ, গঠনতন্ত্র অনুমোদন এবং প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা  কমরেড বালাগাতউল্লাহ। উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের অন্যতম সংগঠক  শিমুল দত্ত।

সভায় আলোচনায় অংশ নেন দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ও সমাজ সচেতন ব্যক্তিবর্গ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—শ্রমিক নেতা তপন দত্ত, প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, রাজনীতিবিদ শওকত আলী, চিকিৎসক ডা. নিশীথ রঞ্জন দে, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. আতিক,  শ্রমিকনেতা ইফতেখার কামাল খান, প্রগতির যাত্রীর অন্যতম কর্ণধার নুপুর ধর, ফজলুল কবীর মিন্টু, প্রকৌশলী প্রকাশ ঘোষ, ডা. আরিফ বাচ্চু, রবীন গুহ, ডা. সাইফুল ইসলাম বিদ্যুৎ, ও সনৎ কুমার বড়ুয়া প্রমুখ।

সভায় সংগঠনের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের খসড়া সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়। একইসঙ্গে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মো. আতিক ৩৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন। এতে ডা. নিশীথ রঞ্জন দে সভাপতি, ফজলুল কবীর মিন্টু সাধারণ সম্পাদক ও শিমুল দত্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

২০১১ সালে গঠিত এই সংগঠন ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনে রূপ দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ১৪ বছরে সংগঠনটি ছাত্র ইউনিয়ন পরিবারের সন্তানদের জন্য পাঁচ দফায় ৩ লাখ টাকা করে মোট ১৫ লক্ষ টাকার বৃত্তি প্রদান করেছে। এছাড়াও প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় পরিবারভিত্তিক মিলনমেলা, যেখানে দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা প্রাক্তন ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা মিলিত হন বন্ধুত্ব ও স্মৃতিচারণার আবহে।

গতকালের সাধারণ সভাও ছিল তেমনই এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা। পুরনো সহযোদ্ধারা দীর্ঘদিন পর পরস্পরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একই ছাদের নিচে মিলিত হন—যেখানে ছিল হৃদ্যতা, আত্মোপলব্ধি এবং একটি আলোকিত সমাজ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয়।