চলমান সংবাদ

কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন

গতকাল ৩১ মার্চ বিকাল ৩টায় সেনা কল্যাণ কনভেনশন সেন্টারে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলওচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করা হয়।

সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি মোঃজালাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক মোঃ পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে সিটি কর্পোরেশনের মহিলা কমিশনার রুমকি সেন গুপ্ত এবং প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযদ্ধা তপন দত্ত এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান, কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির  সভাপতি হাজি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, কমিউনিটি সেন্টার মালিক সমিতির  সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন ইসলাম দুলাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের সহসভাপতি প্রকৌশলী জাবেদ আশরাফ চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ ওসমান গনি, চট্টগ্রাম কমিউনিটিসেন্টার ম্যানেজার সমতির সভাপতি অজয় বড়ুয়া এবং অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর, প্রচার সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার, সংগঠনের বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটির নেতা মোঃ সুমন, মোঃ সাকিল, মোঃ মেহেদী, মোঃ সাদেক, মোঃ ইসমাইল গনি,, মোঃ বচ্চু, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম, হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ হানিফ, ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ – ইনসাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহিন উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার পর দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করেছি।

স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য ছিল বৈষম্যহীন, শোষনহীন এবং সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য  স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও মুক্তিযুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ আজও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি।

কমিউনিটি সেন্টার এবং ডেকোরেটার্স শ্রমিকেরা  দৈনিক ৪০০/৪৫০ টাকায় কাজ করে। ভরা মৌসুমে শ্রমিকেরা ১৫/১৬ দিন কাজ পায়। এতে তারা  মাসে সর্বোচ্চ ৫/৬ হাজার টাকা আয় করে। বর্তমান বাজার মূল্য বিবেচনায় তাদের এ আয় দিয়ে কোনভাবে জীবনধারণ করা সম্ভব হয়না। ফলে এক কঠিন আর্থিক অনটনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিকদের দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। সভায় বক্তারা আরো বলেন, শ্রমিকদের শ্রম আর ঘামের উপর ভর করে দেশে বড় বড় ও নয়নাভিরাম কমিউনিটি সেন্টার গড়ে উঠলেও কোন সেন্টারেই

শ্রম আইন ও বিধি অনুযায়ী স্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয় না। ফলে বড় বড় কমিউনিটি সেন্টারে কাজ করেও এই সেক্টরের শ্রমিকেরা অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকের মতই কাজ করে। শ্রম আইনে বৎসরে দুইটি উৎসব বোনাসের কথা উল্লেখ থাকলেও অস্থায়ী শ্রমিকের অজুহাতে কমিউনিটি সেন্টার শ্রমিকদের উৎসব বোনাস দেয়া হয় না। আবার রমজান মাসে কমিউনিটি সেন্টারগুলোতে কোন কাজ না থাকায় পুরো রমজান মাস শ্রমিকেরা আয়-রোজগারহীন থাকে।

শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আরো বলেন মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর সমবেত। দেশের সকল মানুষ ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কিন্তু কমিউনিটি সেন্টার শ্রমিকেরা জানেনা তারা আদৌ ঈদ করতে পারবে কিনা?