চলমান সংবাদ

পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং শ্রম আইন অনুযায়ী ঈদ বোনাস প্রদানের দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের মানববন্ধন ও সমাবেশ

পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং শ্রম আইন অনুযায়ী ঈদ বোনাস প্রদানের দাবিতে হোটেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ মিছিলের একাংশ।

পবিত্র রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং শ্রম আইন অনুযায়ী ঈদ বোনাস প্রদানের দাবিতে হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে আজ বিকাল ৩টায় চেরাগী পাহাড় মোড়ে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি মোঃ হানিফের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক নুরুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য প্রদান করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন টিইউসি চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সম্পাদক ইফতেখার কামাল খান,  টিইউসি কেন্দ্রীয় কমিটির সংগঠক ফজলুল কবির মিন্টু, বেসরকারী স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রহিম, ইমাররত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা আব্দুল হালিম, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, টিউসি বায়েজিদ পাচলাইশ আঞ্চলিক কমিটির সহসভাপতি মোঃ রাশেদ, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিউনিটি সেন্টার ও ডেকোরেটার্স শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ পারভেজ,হোটেল শ্রমিকনেতা মোঃ রিয়াজ  প্রমুখ শ্রমিকনেতৃবৃন্দ।

সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, রমজান মাস সমাগত। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা যখন ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিতে থাকবে তখন হোটেল শ্রমিকদের ঘরে ঘরে দেখা দিবে তীব্র হতাশা। রমজান মাসে দিনের বেলায় হোটেল বন্ধ রাখার অজুহাতে ব্যাপকভাবে শ্রমিক ছাঁটাই হয়। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের মজুরি ও ঈদ বোনাস দেওয়া হয়না। এমনকি ঈদ শেষে চাকরি পুনর্বহাল হবে কিনা তা নিয়েও থাকে চরম অনিশ্চয়তা। এই ধরণের কার্যক্রম খুবই অমানবিক এবং শ্রম আইন বিরোধী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কথায় কথায় শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা এই সেক্টরে নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। চাকুরিচ্যুত শ্রমিকদের কোন নোটিশ এবং ক্ষতিপূরণ কিছুই দেওয়া হয়না। শ্রম আইন বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উদ্যোগও তেমন দৃশ্যমান নয়।

সভায় বক্তারা বলেন, অতিতের মত যদি আসন্ন রমজান মাসে শ্রমিক ছাঁটাই করা হয় তবে তার পরিনাম ভাল হবে না। তারা শ্রম আইন অনুযায়ী রমজান মাসে সকল হোটেল শ্রমিকদের মজুরি ও ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি জানান। ।

নেতৃবৃন্দ  রমজান মাসে বন্ধ হোটেল সমূহের শ্রমিকদের সারা বছরের প্রাপ্য সবেতন ছুটির সাথে সমন্বয় করে বন্ধকালীন সময়ে শ্রমিকদের পূর্ণ মজুরিতে ছুটি, চাকুরীর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে ঈদের পর চাকরীতে পুণর্বহাল করারও দাবি জানান।

সভায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং শ্রমিকদের ন্যুনতম জীবনমান বজায় রাখার স্বার্থে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে হোটেল শ্রমিকদের তালিকা করে সবার জন্য স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার জোর দাবি জানানো হয়।

সমাবেশ শেষে লাল পতাকা সজ্জিত এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর মূল সড়ক সমূহ প্রদক্ষিন শেষে প্রেস ক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।