জীবন্ত লাশেরা কাঁদে -তারিক হোসেন মিঠুল
গোলচক্করে বের হবার সবকটা রাস্তা সংকুচিত,
একেরপর এক অনাকাক্ষিত-উদ্ভট আর
উটকো ঝামেলা জনজীবন করে দেয় অশান্ত!
দাম বাড়ে বারবার,
ভর্তুকির দোহাই সেই আগের মত!
বিদ্যুতের সাথে সাথে তড়িৎ বাড়ে খরচা,
একে একে বন্ধ হয় বাঁচবার সবকটা রাস্তা,
জগতটাই যেন এক বিশাল লোহার খাঁচা!
খাঁচায় পাখিগুলো ডানা ঝাঁপটায়!
পাষানেরা দেখে চেয়ে,
হাসে আর ভর্তুকির দোহাই শোনায়,
জলের দাম বাড়ে,
সবজি থেকে চাল,মাছ-মাংস-ডাল, চিনি-নুন-পিঁয়াজ-লঙ্কা- পুরো বাজার, টলে না পাষান হৃদয়!
অক্টপাসের নাম সবার জানা!
আফ্রিকার ঘনজঙ্গলের মানুষখেকো আজ দুনিয়াটা খায়,
মানুষের সাথে সাথে একেএকে সব খায়,
যা পায়, এদিকে শিকারগুলো যন্ত্রণায় ডানা ঝাঁপটায়!
বাজার মুক্ত বলে বাজারটা খেয়ে ফেলে হায়েনারা!
পরিষেবাকে পণ্য করে বাণিজ্য সাজায়,
সেবার পথে হাট বসায় লাভজনক হবার লালসায়!
সেখানে সবকিছু টাকায় বিকোয়! জীবন্ত লাশেরা শুধু কাঁদতে জানে!
চোখে তাঁদের নেই জল, শব্দহীন মুখ,
গোলচক্করে শুধুই ঘুরপাক খায় বারবার এধার-ওধার, ভাবে- কোনদিকে গেলে পাবে এতটুকু সুখ!