স্বর্ণ ও রুপা

এতে বলা হয়, কয়েক মাসের মধ্যে সুদের হার কমাতে পারে ফেড। এতে ২০২৪ সালে স্বর্ণ ও রুপার দাম আরও বাড়বে।

ইউবিএসের মূল্যবান ধাতু কৌশলবিদ জনি তেভেস বলেন, স্বর্ণের দাম চলতি বছর আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, ফেড সুদের হার কমাবে। এতে চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রতি আউন্সের মূল্য উঠবে ২ হাজার ২০০ ডলারে, যা সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে।

সুদের হারের সঙ্গে স্বর্ণের দামের সম্পর্ক কিছুটা বিপরীতমুখী। সুদের হার কমলে বন্ডের মতো বিনিয়োগের বিভিন্ন মাধ্যমের অন্যতম বিকল্প হিসেবে মানুষের আগ্রহ বাড়ে স্বর্ণের প্রতি। আবার সুদের স্বল্প হারে মুদ্রাবাজারে ডলারের বিনিময়মূল্য দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে স্বর্ণের দাম কমে যায় বিশ্ববাজারে। সব মিলিয়ে বেড়ে যায় স্বর্ণের চাহিদা। আর এতে ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে দামও।

তবে সুদের হার কমানোর সময় এবং সীমার বিষয়ে এখনও অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে। ইউবিএস নীতি সহজ করার জন্য ফেডারেল রিজার্ভের কাছে তার প্রত্যাশা বজায় রেখেছে। গত সপ্তাহে ফেড জানুয়ারিতে হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, আগামী মার্চের মধ্যে হার না কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

এর আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হলে বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণের প্রতি ঝোঁক বাড়তে শুরু করে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এর প্রভাবে সদ্যবিদায়ী জানুয়ারি মাসে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ২ হাজার ১০০ ডলারে পৌঁছেছে।

স্বর্ণের তুলনায় ভূরাজনৈতিক ও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে রুপার চাহিদা খুব একটা নেই। যে কারণে গত কয়েক বছরে স্বর্ণের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও তেমন বাড়েনি রুপার দাম। তবে ফেড সুহের হার কমালে রুপার দামে বড় পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জনি তেভেস বলেন, ফেডারেল রিজার্ভ সুহের হার কমালে রুপার দাম স্বর্ণের কাছাকাছি চলে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববাজারে স্বর্ণ প্রতি আউন্স বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫২ ডলারে। প্রতি আউন্স রুপার দাম ২২ ডলার ৬৯ সেন্ট।

এদিকে বর্তমানে দেশের বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) স্বর্ণের ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৫ হাজার ৬৭৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৫৭১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম ৭৫ হাজার ৪৬৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে গত ১৭ জানুয়ারি দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। সেদিন ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৪৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ভরিতে ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১০ হাজার ৬৯১ টাকা নির্ধারণ করে সংস্থাটি।

আর ২০২৩ সালে দেশে ২৯ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছে বাজুস।