চলমান সংবাদ

অবশেষে “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল” থেকে “ইমপেরিয়াল হসপিটাল” হয়েছে বটে

-তবে ওয়েব সাইট, ফেইসবুক এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে এখনো “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নাম রয়ে গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

—————-

চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত লাইসেন্সে “ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড” থাকা স্বত্বেও হাসপাতালটি অবৈধ ভাবে চলছে “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নামে। এই প্রসঙ্গে গত ১৮ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রীঃ তারিখ একটি প্রতিবেদন প্রগতির যাত্রী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় ২০জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে সরেজমিনে দেখা গেছে হাসপাতালের ফটকের সাইনবোর্ড থেকে “অ্যাপোলো” নাম সরিয়েছে ইমপেরিয়াল হসপিটাল। এতে সুস্পস্টভাবে প্রমানিত হয় যে এত দিন হাসপাতালটি অবৈধ ভাবে দেশের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ভারতের “অ্যাপোলো” এর নাম ব্যবহার করে এসেছে। যা অন্যন্ত নিন্দনীয় এবং এধরণের একটি কর্পোরেট হাসপাতালের কাছ থেকে এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রম কোন অবস্থাতেই আকাঙ্ক্ষিত নয়। এই বিষয়ে জানতে পেরে অনেকেই প্রগতির যাত্রীর নিকট ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে, উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই ধরনের অনৈতিক ও অবৈধ কাজের জন্য জনসাধারণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিৎ ও এ ব্যপারে তাদের যথাযত বক্তব্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা উচিৎ।

উল্লেখ্য হাসপাতাল ফটকের সাইনবোর্ড থেকে “অ্যাপোলো” নাম সরিয়ে ফেলা হলেও এখনো ইমপেরিয়াল হসপিটালের ওয়েব সাইট, ফেইসবুক পেইজ, বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত হচ্ছে “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নামটি। যা “অ্যাপোলো” নামটি ব্যবহার করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার ছলচাতুরীর বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করছে বেশীর ভাগ মানুষ। তাই ইমপেরিয়াল হসপিটাল কর্তৃপক্ষের উচিৎ এ ব্যপারে উপযুক্ত ব্যখ্যা দিয়ে আনানুগ পদ্ধতিতে হাসপাতালটি পরিচালনা করা।

প্রগতির যাত্রীর গত ১৮জানুয়ারী ২০২৪ তারিখের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, দ্বিতীয় দফায় গত ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে লাইসেন্সের শর্তভঙ্গের অভিযোগ এনে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন। ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” নাম যুক্ত সমস্ত সাইনবোর্ড, প্রচারপত্র ও অফিসিয়াল দস্তাবেজ অপসারণ করার জন্য সময় দেওয়া হয়। অন্যথায় বিধিমতো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয় চিঠিতে। দ্বিতীয় দফায় দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল লিমিটেডের কার্যক্রম অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস নামে পরিচালিত হচ্ছে। প্রথমত ভিন্ন নামে কার্যক্রম পরিচালনা বিধি পরিপন্থি এবং বিভ্রান্তিকর। দ্বিতীয়ত যেহেতু চিকিৎসাসেবা স্পর্শকাতর বিষয় -বিধিমতে নাম পরিবর্তন ব্যতিরেকে সকল বিলবোর্ড, বিজ্ঞাপন, অফিসিয়াল প্যাড, পত্র যোগাযোগ, সর্বক্ষেত্রে লাইসেন্স অনুযায়ী ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড নামে পরিচালনা একান্ত অপরিহার্য ও বিধিসম্মত। চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক ইস্যুকৃত ইমপেরিয়াল হসপিটাল লিমিটেড ব্যতীত অন্য কোনো নাম সংযোজন-বিয়োজন করে স্থাপিত বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড, বিজ্ঞাপন, অফিসিয়াল প্যাড, পত্র যোগাযোগ ইত্যাদি অনিয়মতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে অপসারণ ও লাইসেন্সের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন কর্মকাণ্ড বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়, “সেবা গ্রহীতাগণ প্রতারণা ও বিভ্রান্তির সম্মুখীন না হওয়া এবং জনস্বার্থে উপরোক্ত নির্দেশনা আবশ্যিকভাবে প্রতিপালনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো। অন্যথায় বিধিমতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে”।

পড়ুন:  অনুমোদন না থাকায় “ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল” বন্ধ হলেও “অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হসপিটালস” এখনো কিভাবে চালু আছে?