চলমান সংবাদ

পেঁয়াজের দামে আবারো আগুন

চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে আবারও বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত। তবে দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত। চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের আড়তদাররা বলছেন, দেশের স্থলবন্দর দিয়ে এখনো আগের ঋণপত্রের (এলসি) ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে। সেইসব পেঁয়াজের আমদানি ব্যয় কম হলেও আমদানিকারকরা স্থলবন্দর এলাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম হাঁকছে ১৫৫–১৬০ টাকা। স্থলবন্দর থেকে চাক্তাই–খাতুনগঞ্জে বাজারে আসতে কেজিতে আরো ৫ টাকা মতো খরচ হয়। এক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যদি স্থলবন্দর এলাকায় পেঁয়াজের বাজার মনিটরিং করে তবে পাইকারিতে দাম কমবে। পাইকারিতে দাম কমলে এর প্রভাব পড়বে খুচরা বাজারে। গতকাল চাক্তাইয়ের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে কেজি প্রতি ১২০–১২৫ টাকায়। এছাড়া দেশী মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়, বর্তমানে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। অন্যদিকে খুচরা বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।

পেঁয়াজের আড়তদাররা বলছেন, চাক্তাই খাতুনগঞ্জের আড়তে ব্যবসায়ীরা কমিশনের ভিত্তিতে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আমদানিকারকরা যে দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বলেন, আড়তদাররা সেই দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেন। আড়তদারদের পক্ষে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমাদের দেশে পেঁয়াজের দরবৃদ্ধির সাথে সাথে প্রশাসনের লোকজন আড়তে অভিযান পরিচালনা করে। এতে আতঙ্ক তৈরি হয়। অথচ আড়তদাররা পেঁয়াজ আমদানি করেন না। বর্তমানে পেঁয়াজের চাহিদা কমার কারণে এখন দামও কমছে। আসলে পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য, চাইলে মজুদ রাখা যায় না।

চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম গণ মাধ্যমকে বলেন, পেঁয়াজের বাজার আবারও বাড়তে শুরু করেছে। আসলে আমাদের দেশে পেঁয়াজের বাজরের দাম বাড়া কিংবা কমা নির্ভর করে চাহিদা ও যোগানের ওপর। ভারত রপ্তানি বন্ধ করার পর পর কেজি দু্‌ইশত টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর আবার হঠাৎ করে চাহিদা কমার কারণে দুইদিনে কেজিতে দাম ১০০ টাকা কমে যায়। পরবর্তীতে দাম ১২০–১২৫ টাকায় দাম স্থির থাকে। তবে এখন দাম বাড়ার বড় কারণ হচ্ছে আমদানিকারকরা পেঁয়াজের দাম বেশি চাচ্ছেন। আমাদের দেশে যে পরিমাণ দেশী পেঁয়াজ বাজারে সরবরাহ হচ্ছে, বাজার চাহিদা পূরণের জন্য তা যথেষ্ট নয়। তবে সরকারের উচিত যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ এখন দেশে প্রবেশ করছে, সেগুলো নজরদারি করা। তাহলে বাজার স্থিতিশীল থাকবে।