এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলদেশের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এ ফল প্রকাশ করেন।

ডিজিটাল লটারির ভর্তির ফলাফল দেখা যাবে https://gsa.teletalk.com.bd/ ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া টেলিটক মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে।

এসএমএস পদ্ধতি— GSAResultUser ID লিখে পাঠিয়ে দিতে হবে 16222 নম্বরে।
ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। অনুষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ফেসবুক পেজ এবং টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার হয়।

গত রোববার মাধ্যমিকের লটারির জন্য নির্ধারিত ছিল। কিন্তু ওইদিন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এজন্য লটারির তারিখ পেছানো হয় বলে জানা গেছে।

মাউশি জানায়, ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় লটারির অধীনে আসা দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে আসন আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। তবে আবেদন পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি। এর মধ্যে ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১ আসন।

আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩টি। অন্যদিকে ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ টি। অর্থাৎ বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদনকারী সবাই ভর্তি হলেও প্রায় সাত লাখ আসন খালি থাকবে।

প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।