চলমান সংবাদ

আমেরিকান এম্বেসিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দৌঁড়ঝাপ বেড়ে গেছে

 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) চট্টগ্রাম জেলার উদ্যেগে  গতকাল সোমবার (২১ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর হাজারীলেইনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সিপিবি চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি কমরেড অশোক সাহার সভাপতিত্বে ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাফা ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সদস্য কমরেড মৃণাল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলার সভাপতি কমরেড কানাই দাশ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমরেড আবদুল নবী।

সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে সিপিবির সভাপতি কমরেড শাহ আলম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি সরকারের হাতে নেই। ব্যবসায়ী, আমলা, বিদেশী শক্তির হাতে রাজনীতি চলে গেছে। এই তিন শক্তিই দেশকে এখন পরিচালনা করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দৌঁড়ঝাঁপ আমেরিকার এম্বেসিতে বেড়েছে। অন্য দেশের প্রতিনিধিদলের সাথে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মিটিং করে সালমান এফ রহমানের মতো নেতারা।

তিনি আরও বলেন, ১৫ বছর ধরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকেও রাজনীতি কেনো এখানে চলে এলো? কারণ দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রহীনতায় আজ পুরো দেশ ভুগছে। আর এই সুযোগে আমেরিকার অপতৎপরতা বেড়েই চলেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তাদের এই সুযোগ করে দিয়েছে। শেখ হাসিনার কাছে দেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ এস আলম ও সালমান এফ রহমান। তাই শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে।

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘বর্তমানে সরকার যে দুঃশাসন তৈরী করেছে, তার মধ্যে ফ্যাসিস্ট আচরণ যেভাবে বেড়েই চলছে সেটা যদি এভাবে চলতে তাহলে বাংলাদেশ একটি বড় সংকটে পড়বে। পাশের দেশ আধিপাত্যবাদী ভারতে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা ছাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। রাজনীতিতে এখন দূরবস্থাপন্ন অবস্থা। দেউলিয়ার দিকে ঝুঁকছে রাজনীতি। এর থেকে রাজনীতিকে বের করে আনতে হবে। গণতন্ত্র বাঁধাগ্রস্থ হলে আরও বেশি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে হবে।’

এর আগে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শামছুজ্জামান সেলিমের শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, কমরেড শামচ্ছুজ্জামান সেলিম ছাত্রাবস্থা থেকেই প্রগতিশীল আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। শ্রমিক আন্দোলন করেছেন। এরপর নিজের মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। খুব কম বয়সেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেছিলেন। পার্টিতে কাজ করেছেন। পাকশী মিলের ট্রেড ইউনিয়নে শ্রমিকদের মধ্যে গিয়ে কাজ করেছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সাপ্তাহিক একতাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কলাম লিখতেন। পার্টির প্রয়োজনে তিনি ক্ষেতমজুর সমিতি করেছেন। সারাজীবন তিনি মানুষের মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন।  দেশের এক কঠিন মূহুর্তে কমরেড শামছুজ্জামান সেলিম আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। খুবই আকস্মিকভাবে আমরা তাকে হারিয়েছি। পার্টির নীতি নৈতিকতা আদর্শ বলতে যা বোঝায়, আদর্শ বলতে আমরা যে বুঝি সবকিছুই তার মধ্যে বিদ্যমান ছিল। সত্যিকার অর্থে তিনি সাচ্চা কমিউনিস্ট ছিলেন। তার সাথে ভালোভাবে মিশলে বোঝা যেতো যে তার মনটা ছিল সজীব,বুদ্ধি ও কৌতূহল ছিল খুবই সজাগ, তীব্র এবং সর্বদাই জিজ্ঞাসু।